
নিজস্ব প্রতিনিধি :
মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী ২০০৭ সালে ওয়ান-ইলেভেনে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিল। সেনা প্রধান মঈন উদ্দিন আহমেদকে সামনে রেখে ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে সামরিক হস্তক্ষেপের মাধ্যমে তত্বাবধায়ক সরকার বসানোর মূল পরিকল্পনা ছিলো তারই ছিল। সেসময় সবচেয়ে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিল সে। সেনাবাহিনীর চাকরিতে যোগদানের পূর্বে সে মুজিবের রক্ষী বাহিনীর সদস্য ছিল। ১৯৭৪ সালে চট্টগ্রামে কসকরের ট্যালী ক্লার্ক ছিল সে। দুর্ভিক্ষের সময় রিলিফ হিসাবে আসা ২ ট্রাক নারিকেল তৈল চোরাকারবারীদের কাছে উচ্চমূল্যে বিক্রি করে দেয় সে, যা ময়মনসিংহে খালাস হয়। এ ঘটনায় চট্টগ্রাম থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত বিভিন্ন থানায় মাসুদসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। পরবর্তীতে মামলা হতে বাঁচার জন্য রক্ষী বাহিনীতে যোগ দেয় সে। পঁচাত্তরের পটপরিবর্তনের পরে রক্ষী বাহিনী বিলুপ্ত করে এ বাহিনীর সদস্যদের সেনাবাহিনীর বিভিন্ন বিগ্রেডে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। ষষ্ঠ জেআরবি হতে মাসুদের অন্তর্ভুক্তি হয় সেনাবাহিনীতে।
২০১৮ সালের রাতের ভোট আর ২০২৪ সালের ডামি নির্বাচনে মাসুদ ফেনী-৩ (সোনাগাজী-দাগনভূঞা) আসন থেকে জাতীয় পার্টির হয়ে অবৈধ এমপি হয়েছিল মাসুদ। ২০১৮ সালের রাতের ভোটের নির্বাচনে প্রথমে আ.লীগের দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করে সে। পরে আ.লীগের পরামর্শে জাতীয় পার্টিতে যোগদান করে ও জাতীয় পার্টির হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেয়। মাসুদ ২০১৫ সালে ফাইভ এম ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি রিক্রুটিং এজেন্সি প্রতিষ্ঠা করেছিল। মালয়েশিয়ায় এককভাবে শ্রমিক পাঠানোর শীর্ষে রয়েছে তার এই প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতিষ্ঠানটি মধ্যপ্রাচ্যে আড়াই হাজারের মতো কর্মী পাঠিয়েছে। তবে মালয়েশিয়া চক্রে ঢুকে এই এজেন্সি একাই ছাড়পত্র নিয়েছে ৮ হাজার ৫৯২ কর্মীর। হাসিনার পতনের পর সম্প্রতি মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার চক্রের অন্যতম সদস্য হিসেবে রমরমা ব্যবসার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন অনুসন্ধান শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ভাই মেজর (অব.) সাঈদ এস্কান্দার মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীর বোনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। সেই সুবাদে লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী পারিকারিকভাবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বেয়াই।
বাঁশেরকেল্লা- Basherkella
Reporter Name 















