Dhaka 5:52 am, Friday, 7 November 2025

ওসিদের অবহেলায় পত্রিকা অফিসে ডাকাতি, মামলা নিতে গড়িমশি

  • Reporter Name
  • Update Time : 10:10:29 am, Friday, 29 November 2024
  • 166 Time View

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা থানার ওসির দায়িত্বের অবহেলায় দপ্তরবার্তা পত্রিকা অফিসে ডাকাতি হয়েছে বলে দাবী সম্পাদক সুলতান মাহমুদের। ১৯ নভেম্বর রাতে ফতুল্লা থানায় অভিযোগ করলে ওসি শরীফ সুকান্ত দত্তকে এন্ড্রোস করে দেয় কিন্তু ওসি তদন্ত সুকান্ত এস আই মিজানকে তদন্ত করার দায়িত্ব দেয়। কিন্ত মিজান অসুস্থ বলে কোণ দ্যিত্ব পালন করে নাই। বাদী ওসিকে জানালে ওসি শরীফুল ইসলাম কোণ উওর দেয়নি। পুলিশ ইচ্ছে করলেই বিবাদী মোশারফ থেকে অফিসের চাবি ও অন্যান্য ডকুমেন্ট ফেরত আনতে পারত কিন্তু অনৈতিক সুবিধা না পেয়ে ফতুল্লা থানা পুলিশ কোন দায়িত্ব পালন করে নাই বলে এই ডাকাতি হয়েছে জানায় দপ্তরবার্তার সম্পাদক সুলতান মাহমুদ।

সুত্রমতে, ১৯ নভেম্বর মুল স্ট্যাম্প নিয়ে গিয়ে আমার টাকা ফেরত দিবে বলে টাকা এনে লাপাত্তা মোশারফ। ১৯ নভেম্বর পত্রিকা ঠিকমত বিলি না করে মজিবুর থেকে দোকানের অগ্রীম টাকা , মুল চালান, হিসাবের খাতা নিয়ে উধাও মোশারফ। এব্যাপারে ফতুল্লা থানায় অভিযোগ করার পর বিগত ২ দিনে কোণ ব্যবস্থা না নেয়ায় ২১ নভেম্বর পোনে ৪টায় ডাকাতি হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। লুটপাটের ঘটনা দেখে ওসিকে কল করলে ওসি কল ধরে নাই, ডিউটি অফিসার জানালে তিনি কিলো ডিউটি থাকা এস আই ইমানুরের নাম্বার দেয়। অভিযোগকারী ইমানুরকে কল করলে বলে, এই মাত্র আমি ঐদিক থেকে চলে এসেছি, তক্কার মাঠ একটু কাজ আছে তার পর আমি আসব, আধা ঘন্টা পর আবার কল দিলে তিনি বলে ৫ মিনিটের মধ্যে আসতেছি। মাগরিব নামাজের পর আবার কল দিলে তিনি বলে আমি ভুইগড় ইউসিবি ব্যংকের সামনে আসছি কিন্তু স্যার আমাকে মাসদাইর যেতে বলছে, আপনি থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন, স্যারের সাথে কথা বলেন। সাথে সাথে থানায় গিয়ে ওসিকে না পেয়ে তদন্ত ওসির রোমে গিয়ে এস আই ইমানুরকে দেখতে পাওয়া যায় এবং ওসি তদন্ত বন্ধ-বান্ধব নিয়ে খাওয়া দাওয়ায় করছে।উভয়কে ডাকাতির ভিডিও দেওয়ার পর তারা বলে ওসি স্যারকে কল করে কথা বলেন।কল করে জানানোর পরেও কোণ ব্যবস্থা নেয়নি ওসি শরীফুল ইসলাম।

ডাকাত ও সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে পুলিশ আইনত ব্যবস্থা না নেওয়ায় ২২ নভেম্বর পিস্তল দেখিয়ে সাংবাদিককে জানে মারার এবং মুখ বন্ধ রাখতে হুমকি দেয়। বিগত ৭ দিন পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয় নাই, নেই নিচ্ছি বলে ফতুল্লার ওসি শরীফ ৪ দিন থানায় নিয়ে বাদীকে  হয়রানী ও ব্যবসার ক্ষতি করেছে বলে জানা যায়। দুই বার এজহার পরিবর্তনসহ অনেক তালবাহানা করছে ফতুল্লা থানা পুলিশ। ২৭ নভেম্বর রাত ১০ টায় ওসি , অতদন্ত ওসি, এস আই সিদান্ত নিয়ে ধারা ঠিক করল এবং বলল আপনার র ফাইলটা দিন, একটু আরজি রদ-বদল করে ব্যবস্থা নিচ্ছি। তৎক্ষণাৎ র ফাইল থানার ২টা ইমেইলে, এস আই এবং ওসি হোয়াটস আপে মেসেজ করে পাঠানো হল। ২৮ নভেম্বর থানায় যেতে বললে যাওয়া হল কিন্তু ওসি নাই, আরজির কোন সংশোধন নাই, এস আই ও তদন্ত ওসির একই তালবাহানা এবং তখনি এসপি প্রতুষ্য কুমার মজুমদারকে ঘটনা জানানো হল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশাসন তরিকুল ইসলামকে সরকারী নাম্বার ও ব্যক্তিগত নাম্বারে ৪/৫ বার কল করে জানানোর চেষ্ঠা করলে তিনি কল ধরেনি। এই সংবাদ প্রকাশ করা পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়নি ফতুল্লা থানা পুলিশ। চলবে……

 

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

ওসিদের অবহেলায় পত্রিকা অফিসে ডাকাতি, মামলা নিতে গড়িমশি

Update Time : 10:10:29 am, Friday, 29 November 2024

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা থানার ওসির দায়িত্বের অবহেলায় দপ্তরবার্তা পত্রিকা অফিসে ডাকাতি হয়েছে বলে দাবী সম্পাদক সুলতান মাহমুদের। ১৯ নভেম্বর রাতে ফতুল্লা থানায় অভিযোগ করলে ওসি শরীফ সুকান্ত দত্তকে এন্ড্রোস করে দেয় কিন্তু ওসি তদন্ত সুকান্ত এস আই মিজানকে তদন্ত করার দায়িত্ব দেয়। কিন্ত মিজান অসুস্থ বলে কোণ দ্যিত্ব পালন করে নাই। বাদী ওসিকে জানালে ওসি শরীফুল ইসলাম কোণ উওর দেয়নি। পুলিশ ইচ্ছে করলেই বিবাদী মোশারফ থেকে অফিসের চাবি ও অন্যান্য ডকুমেন্ট ফেরত আনতে পারত কিন্তু অনৈতিক সুবিধা না পেয়ে ফতুল্লা থানা পুলিশ কোন দায়িত্ব পালন করে নাই বলে এই ডাকাতি হয়েছে জানায় দপ্তরবার্তার সম্পাদক সুলতান মাহমুদ।

সুত্রমতে, ১৯ নভেম্বর মুল স্ট্যাম্প নিয়ে গিয়ে আমার টাকা ফেরত দিবে বলে টাকা এনে লাপাত্তা মোশারফ। ১৯ নভেম্বর পত্রিকা ঠিকমত বিলি না করে মজিবুর থেকে দোকানের অগ্রীম টাকা , মুল চালান, হিসাবের খাতা নিয়ে উধাও মোশারফ। এব্যাপারে ফতুল্লা থানায় অভিযোগ করার পর বিগত ২ দিনে কোণ ব্যবস্থা না নেয়ায় ২১ নভেম্বর পোনে ৪টায় ডাকাতি হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। লুটপাটের ঘটনা দেখে ওসিকে কল করলে ওসি কল ধরে নাই, ডিউটি অফিসার জানালে তিনি কিলো ডিউটি থাকা এস আই ইমানুরের নাম্বার দেয়। অভিযোগকারী ইমানুরকে কল করলে বলে, এই মাত্র আমি ঐদিক থেকে চলে এসেছি, তক্কার মাঠ একটু কাজ আছে তার পর আমি আসব, আধা ঘন্টা পর আবার কল দিলে তিনি বলে ৫ মিনিটের মধ্যে আসতেছি। মাগরিব নামাজের পর আবার কল দিলে তিনি বলে আমি ভুইগড় ইউসিবি ব্যংকের সামনে আসছি কিন্তু স্যার আমাকে মাসদাইর যেতে বলছে, আপনি থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন, স্যারের সাথে কথা বলেন। সাথে সাথে থানায় গিয়ে ওসিকে না পেয়ে তদন্ত ওসির রোমে গিয়ে এস আই ইমানুরকে দেখতে পাওয়া যায় এবং ওসি তদন্ত বন্ধ-বান্ধব নিয়ে খাওয়া দাওয়ায় করছে।উভয়কে ডাকাতির ভিডিও দেওয়ার পর তারা বলে ওসি স্যারকে কল করে কথা বলেন।কল করে জানানোর পরেও কোণ ব্যবস্থা নেয়নি ওসি শরীফুল ইসলাম।

ডাকাত ও সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে পুলিশ আইনত ব্যবস্থা না নেওয়ায় ২২ নভেম্বর পিস্তল দেখিয়ে সাংবাদিককে জানে মারার এবং মুখ বন্ধ রাখতে হুমকি দেয়। বিগত ৭ দিন পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয় নাই, নেই নিচ্ছি বলে ফতুল্লার ওসি শরীফ ৪ দিন থানায় নিয়ে বাদীকে  হয়রানী ও ব্যবসার ক্ষতি করেছে বলে জানা যায়। দুই বার এজহার পরিবর্তনসহ অনেক তালবাহানা করছে ফতুল্লা থানা পুলিশ। ২৭ নভেম্বর রাত ১০ টায় ওসি , অতদন্ত ওসি, এস আই সিদান্ত নিয়ে ধারা ঠিক করল এবং বলল আপনার র ফাইলটা দিন, একটু আরজি রদ-বদল করে ব্যবস্থা নিচ্ছি। তৎক্ষণাৎ র ফাইল থানার ২টা ইমেইলে, এস আই এবং ওসি হোয়াটস আপে মেসেজ করে পাঠানো হল। ২৮ নভেম্বর থানায় যেতে বললে যাওয়া হল কিন্তু ওসি নাই, আরজির কোন সংশোধন নাই, এস আই ও তদন্ত ওসির একই তালবাহানা এবং তখনি এসপি প্রতুষ্য কুমার মজুমদারকে ঘটনা জানানো হল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশাসন তরিকুল ইসলামকে সরকারী নাম্বার ও ব্যক্তিগত নাম্বারে ৪/৫ বার কল করে জানানোর চেষ্ঠা করলে তিনি কল ধরেনি। এই সংবাদ প্রকাশ করা পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়নি ফতুল্লা থানা পুলিশ। চলবে……