
নিজস্ব প্রতিবেদক: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় সাংবাদিক পরিচয়দানকারী ৬ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এক সপ্তাহের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। এতে সোনারগাঁজুড়ে সাংবাদিকদের বাঁকা চোখে দেখছে সাধারণ জনতা। বিপাকে পড়েছে এলাকার প্রকৃত ও পেশাদার সাংবাদিকরা।
তথ্য সুত্রে, চাঁদাবাজ কিছু সাংবাদিকদের অপতৎপরতায় সাধারণ ব্যবসায়ীদের হয়রানি ও অর্থ আদায়ের কৌশলে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোনারগাঁ পৌরসভার জাদুঘর ২ নম্বর গেট সংলগ্ন এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে একটি ফুচকার কারখানা ও একটি বেকারি। দীর্ঘদিন ধরে সেখানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে ফুচকা, কেকসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্য। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ৮ জুলাই মঙ্গলবার ঐ এলাকায় হানা দেয় ৪ সাংবাদিক। কারখানার কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদের পর তারা মালিককে ডেকে আনে এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে বলে, অবৈধ গ্যাস সংযোগ ও নোংরা পরিবেশে খাবার তৈরি হচ্ছে—এই অভিযোগে সংবাদ প্রকাশ করা হবে। পরে দীর্ঘ দেনদরবার শেষে মালিক পক্ষ থেকে কথিত সাংবাদিকদের ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দিয়ে বিষয়টি রফাদফা করা হয়, যার কোন লিখিত রসিদ ছিল না। বিষয়টি লোকমুখে জানাজানি হয়ে যাওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ব্যাপক চর্চা শুরু হয়।
এ নিয়ে এলাকায় আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠে। সচেতন মহল জানতে চায়, কারা এই কথিত সাংবাদিক? পরে “বিষ পিঁপরা সমন্বয়কের বাপ” নামক ফেইসবুক আইডিতে ঐ চাঁদাবাজ ৪ সাংবাদিকের বিস্তারিত পরিচয়সহ তাদের চাঁদাবাজির ফিরিস্তি তুলে ধরে।
- স্থানীয়দের অভিযোগ, এই সাংবাদিকরা দীর্ঘদিন ধরে সোনারগাঁ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ভয়ভীতি ও মিথ্যা সংবাদের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি করে আসছে। তারা দাবি করে, অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছে-১.ভিপি পারভেজ (ঈশা খাঁ প্রেসক্লাব), ২.মাসুদ রানা (ঈশা খাঁ প্রেসক্লাব), ৩. কামরুজ্জামান রানা (সোনারগাঁ রিপোর্টার্স প্রেসক্লাব), ৪. নজরুল ইসলাম শুভ (সোনারগাঁ থানা প্রেসক্লাব)।
এছাড়া, এক সপ্তাহ আগেই রুবেল ও ডালিম নামের দুই সাংবাদিক নৌপথে চাঁদাবাজির সময় হাতেনাতে ধরা খেয়েছে বিএনপির চাঁদাবাজ গ্রুপের সাথে। জেল থেকে বেরিয়ে সেই সেই নির্লজ্জ কথিত সাংবাদিক রুবেল ফেইসবুকে স্টাটাস দেন “আলহামদুলিল্লাহ”।
সচেতন নাগরিকদের মতে, এসব নামধারী কথিত সাংবাদিকের অপকর্মে প্রকৃত সাংবাদিকরা চরমভাবে বিব্রত হচ্ছেন। তাদের বিশ্বাস, দায়িত্বশীল সাংবাদিকরা সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে এই অপসাংবাদিকতার কালিমা মুছে দেবে।
জনসাধারণের প্রত্যাশা, স্থানীয় প্রশাসন ও পত্রিকা মালিকরা এসব কথিত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
Reporter Name 















