Dhaka 11:30 pm, Wednesday, 12 November 2025

দখলবাজ আল মোস্তফা অপ্রতিরোধ্য এক দানব, প্রশাসন নীরব ভুমিকায়

  • Reporter Name
  • Update Time : 05:05:35 am, Tuesday, 30 September 2025
  • 104 Time View

সোনারগাঁও প্রতিনিধি : বসত ভিটা, নদী, খাস জমি, সড়ক ও জানপদের জায়গাসহ এমন কি জোরপূর্বক গ্রাম দখল করছে আল মোস্তফা গ্রুপ বিএনপির নেতারা ও স্থানীয় প্রশাসন নীরব ভুমিকায়।  নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলায় দখলবাজ আল মোস্তফা যেন অপ্রতিরোধ্য এক দানব। রহস্যময় কারণে নীরব প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর ও নদী কমিশনশ সরকারী ও দলীয় সর্ব মহল।  তাই স্থানীয়দের বক্তব্য- সোনারগাঁ হলো এক মগেরমুলুক।

সোনারগাঁ উপজেলার গণমাধ্যম কর্মীরা জানায়, এই আল মোস্তফা গ্রুপের বিরুদ্ধে গত একদশকে কতশত নিউজ হয়েছে তার কোন ইয়াত্তা নাই। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এই ভূমি দস্যু দেদারসে মানুষের বসত বাড়িসহ খামার, নদী, সরকারি খাস জমিসহ সব দখল করছে।এখন আশাঢ়িয়ার চর গ্রামে যে দখল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাও কিছুদিন পর ঢাকা পরে যাবে।

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের আশাঢ়িয়ার চর সেতুর নিচ দিয়ে মেঘনার শাখা নদীর এক তৃতীয়াংশ দখল করার অভিযোগ পাওয়া গেলে সরেজমিনে দেখা যায়, স্থানীয় এলাকাবাসীর কারো বসত ভিটা, কারো খামার, কারো বাড়ির পায়খানা ভেঙে অবৈধ ভাবে বালি ভরাট করা হয়েছে। ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশ দিয়ে বসত বাড়ির উপর দিয়ে ফলজ গাছ কেটে রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে৷

আষাঢ়িয়ার চর গ্রামের বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম বলে,  ‘আমার গরুর খামার ও বাড়ি বালু ভরাট করে দখল করে এখন বাড়ি ছাড়ার হুমকি দিচ্ছে আল মোস্তফা। আমরা এখন গরু-ছাগল ও আমার পরিবার নিয়ে কই যামু তা বুঝতে পারছি না।

একই এলাকার আল আমিনের স্ত্রী সুমি আক্তার বলে, আল মোস্তফা গ্রুপের বিরুদ্ধে আমরা এখন কথা বললে রাতেই আমাদের বাড়িতে হামলা করবে তার পালিত সন্ত্রাসীরা।

আমরাসহ পুরো আষাঢ়িয়ার চর গ্রামবাসী আতংকে আছি। কখন যেন সবাইকে গ্রাম থেকে বের করে দেয় আল মোস্তফা।

সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয় সম্পাদক আব্দুল জলিল বলে, বিএনপির রাজনীতি করি বিধায় বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় আসছে আমি নাকি আল মোস্তফাকে এই নদী ও গ্রাম দখল করতে সহযোগিতা করতেছি। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। মূলত আওয়ামী লীগের আমলে ছল-চাতুরী করে এনিমি সম্পত্তি ও খাস জমি ভরাটের নামে নদী ও গ্রামের সাধারণ মানুষের জায়গা দখল করছে।

আল মোস্তফা গ্রুপের স্বত্তাধিকারী মোস্তফা কামালকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমরা বালু ভরাট বন্ধ করে দিয়েছি। বিআইডব্লিউটিএ, এসি ল‍্যান্ড এলাকাবাসী সকলেই জানে এটা কোম্পানির জায়গা, রাস্তার জায়গা সড়ক ও জনপথ বিভাগের আছে যদি প্রয়োজন হয় অনুমতি সাপেক্ষে ব‍্যবহার করা যাবে।

সোনারগাঁ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: তৌফিকুর রহমান বলেন, নদী ভরাটের বিষয়টি জানার পর নায়েব ও সার্ভেয়ারসহ আমি গিয়ে বালু ভরাটের কাজ বন্ধ করেছি। এই বিষয়টি উর্ধতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। খুব শীঘ্রই নদী ও গ্রাম দখলবাজদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এব্যাপারে সোনারগাঁও ইউএনও ফারজানা ইসলামকে কল করলে তিনি কল না ধরে কেটে দেয়।

কথা হল আদৌ কি প্রশাসন ব্যবস্থা নিবে নাকি মোটা অংকের টাকা খেয়ে বসে থাকবে?

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

দখলবাজ আল মোস্তফা অপ্রতিরোধ্য এক দানব, প্রশাসন নীরব ভুমিকায়

Update Time : 05:05:35 am, Tuesday, 30 September 2025

সোনারগাঁও প্রতিনিধি : বসত ভিটা, নদী, খাস জমি, সড়ক ও জানপদের জায়গাসহ এমন কি জোরপূর্বক গ্রাম দখল করছে আল মোস্তফা গ্রুপ বিএনপির নেতারা ও স্থানীয় প্রশাসন নীরব ভুমিকায়।  নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলায় দখলবাজ আল মোস্তফা যেন অপ্রতিরোধ্য এক দানব। রহস্যময় কারণে নীরব প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর ও নদী কমিশনশ সরকারী ও দলীয় সর্ব মহল।  তাই স্থানীয়দের বক্তব্য- সোনারগাঁ হলো এক মগেরমুলুক।

সোনারগাঁ উপজেলার গণমাধ্যম কর্মীরা জানায়, এই আল মোস্তফা গ্রুপের বিরুদ্ধে গত একদশকে কতশত নিউজ হয়েছে তার কোন ইয়াত্তা নাই। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এই ভূমি দস্যু দেদারসে মানুষের বসত বাড়িসহ খামার, নদী, সরকারি খাস জমিসহ সব দখল করছে।এখন আশাঢ়িয়ার চর গ্রামে যে দখল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাও কিছুদিন পর ঢাকা পরে যাবে।

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের আশাঢ়িয়ার চর সেতুর নিচ দিয়ে মেঘনার শাখা নদীর এক তৃতীয়াংশ দখল করার অভিযোগ পাওয়া গেলে সরেজমিনে দেখা যায়, স্থানীয় এলাকাবাসীর কারো বসত ভিটা, কারো খামার, কারো বাড়ির পায়খানা ভেঙে অবৈধ ভাবে বালি ভরাট করা হয়েছে। ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশ দিয়ে বসত বাড়ির উপর দিয়ে ফলজ গাছ কেটে রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে৷

আষাঢ়িয়ার চর গ্রামের বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম বলে,  ‘আমার গরুর খামার ও বাড়ি বালু ভরাট করে দখল করে এখন বাড়ি ছাড়ার হুমকি দিচ্ছে আল মোস্তফা। আমরা এখন গরু-ছাগল ও আমার পরিবার নিয়ে কই যামু তা বুঝতে পারছি না।

একই এলাকার আল আমিনের স্ত্রী সুমি আক্তার বলে, আল মোস্তফা গ্রুপের বিরুদ্ধে আমরা এখন কথা বললে রাতেই আমাদের বাড়িতে হামলা করবে তার পালিত সন্ত্রাসীরা।

আমরাসহ পুরো আষাঢ়িয়ার চর গ্রামবাসী আতংকে আছি। কখন যেন সবাইকে গ্রাম থেকে বের করে দেয় আল মোস্তফা।

সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয় সম্পাদক আব্দুল জলিল বলে, বিএনপির রাজনীতি করি বিধায় বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় আসছে আমি নাকি আল মোস্তফাকে এই নদী ও গ্রাম দখল করতে সহযোগিতা করতেছি। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। মূলত আওয়ামী লীগের আমলে ছল-চাতুরী করে এনিমি সম্পত্তি ও খাস জমি ভরাটের নামে নদী ও গ্রামের সাধারণ মানুষের জায়গা দখল করছে।

আল মোস্তফা গ্রুপের স্বত্তাধিকারী মোস্তফা কামালকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমরা বালু ভরাট বন্ধ করে দিয়েছি। বিআইডব্লিউটিএ, এসি ল‍্যান্ড এলাকাবাসী সকলেই জানে এটা কোম্পানির জায়গা, রাস্তার জায়গা সড়ক ও জনপথ বিভাগের আছে যদি প্রয়োজন হয় অনুমতি সাপেক্ষে ব‍্যবহার করা যাবে।

সোনারগাঁ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: তৌফিকুর রহমান বলেন, নদী ভরাটের বিষয়টি জানার পর নায়েব ও সার্ভেয়ারসহ আমি গিয়ে বালু ভরাটের কাজ বন্ধ করেছি। এই বিষয়টি উর্ধতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। খুব শীঘ্রই নদী ও গ্রাম দখলবাজদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এব্যাপারে সোনারগাঁও ইউএনও ফারজানা ইসলামকে কল করলে তিনি কল না ধরে কেটে দেয়।

কথা হল আদৌ কি প্রশাসন ব্যবস্থা নিবে নাকি মোটা অংকের টাকা খেয়ে বসে থাকবে?