
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধ : নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার খাগকান্দা ইউনিয়নের মূর্তিমান আতঙ্ক আওয়ামী লীগের ডেবিল নজরুল ইসলাম বাবু এমপির একান্ত সহযোগী জাকারিয়ার অপকর্মে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে ইউনিয়নের কাইলমোড়া এবং বাহেরচর গ্রামবাসী।
খাগকান্দা ইউনিয়নের সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ,মূর্তিমান আতংক, নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীর প্রধান হোতা মোঃ জাকারিয়া বর্তমানে ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না। কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হওয়া সহ সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয় ও ভয়ে দিন যাপন করতে হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খাগকান্দা ইউনিয়নের কাকাইল ও বাহেরচর গ্রামবাসী জানিয়েছেন, একসময় দুর্দান্ত প্রতাপশালী আওয়ামী লীগের এমপি নজরুল ইসলাম বাবুর সহযোগী মোহাম্মদ জাকারিয়া ২০২৪ সালের ৫ আগষ্ট ভোল পাল্টে ঢাকা বিভাগীয় বিএনপি সহ সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ।ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক পদ দখল করে নেন।
এ পদ লাভের পর মোঃ জাকারিয়া ও তার সহযোগী আব্দুর রহিম,তোফাজ্জল হোসেন,মোঃ লোকমানের সন্ত্রাসী ও নানান অপকর্ম ব্যাপক মাত্রায় বৃদ্ধি পায়।
তার সহযোগী ও গডফাদার হিসেবে খ্যাত আব্দুর রহিম, লুটপাট ভাঙচুর এর মাস্টারমাইন্ড তোফাজ্জল হোসেন, এলাকার মাদক সাপ্লায়ার মোঃ লোকমান হোসেনের সহযোগিতায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে জাকারিয়া।মৌখিকভাবে মোহাম্মদ জাকারিয়া কে ইউনিয়ন বিএনপি হতে অব্যাহতি দেওয়া হলেও লিখিতভাবে অব্যাহতি না করায় তার অপকর্ম চালিয়ে আসছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগীরা জানান, নজরুল ইসলাম বাবুর সময়ে ব্যাপক মাত্রায় সন্ত্রাসী ও অনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল জাকারিয়া সহ তার সহযোগীরা।থানা পুলিশ জাকারিয়ার বিরুদ্ধে কোন আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। বর্তমানে ঢাকা বিভাগীয় বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদের বলয়ে থাকায় পুলিশ ও তার বিরুদ্ধে কোন আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তবে নারায়ণগঞ্জ আদালতে ১৫ টি ভূক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে ৪ টি মামলা দায়ের করা হলে তা বিচারাধীন রয়েছে।
মাদক ব্যবসা,ভূমিদস্যুতা,চাঁদাবাজি, লুটপাট, ভাংচুর, মারধরসহ নানান অপকর্ম অব্যাহত রেখেছে জাকারিয়া ।
জাকারিয়া সারাজীবন বাবু লোক হিসেবে মিছিল মিটিং করেছে।বিভিন্ন ব্যানার,পোষ্টার ও ভিডিও আছে।আপনারা পাইছেন কিনা জানিনা।টাকার বিনিময়ে ৫ আগষ্টের পর বিএনপিতে আসছে।কিভাবে আসছে বললে আমার ক্ষতি হবে।থানাকে টাকা দিয়ে এলাকায় বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাট ৯ টি গরু নিয়ে গেছে।এসআই রুহুল আমিনকে সাথে নিয়ে নিরীহ মানুষের বাড়িঘর ভাংচুর লুটপাট করছে।বাবুর আমলে আমার বাড়িঘর ও ভাংচুর করছে।এখন তারা পিওর বিএনপি হয়ে গেছে। আমরা আওয়ামী লীগ হয়ে গেছি।হাতে গোনা কয়েকজন আমরা বিএনপি করছি।
আড়াইহাজার থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার নাসিরউদ্দিন মুঠোফোনে ঢাকা ২৪ বলেন,এ ঘটনায় কোর্টে মামলা রয়েছে বলে থানায় মামলা হয়নি।আপনারা বিশেষ অঙ্গুলিতে মামলা নেননি এ প্রশ্নের জবাবে বলেন তা ঠিক নয়।এসআই রুহুল আমিন পিও ভিজিট করতে গিয়েছিলেন সেখান থেকে এসআই রুহুল আমিন চলে আসার পর ঘটনা ঘটেছে।
Reporter Name 















