
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ নারায়নগঞ্জ শহরে ছড়াছড়ি নকশা বহির্ভুত বিল্ডিং’র বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নাই কিন্তু নীরব ভুমিকায় আছে রাজউক-৮ জোনের কর্মকর্তারা। জানা যায় অনৈতিক সুবিধা পেয়ে তারা নীরব ভুমিকায় আছে ঘুমিয়ে। ৬৯ উওর চাষাড়ায় নকশা বহির্ভুত ভবনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান, পরিচালক কোন সৎ উওর দিচ্ছে না। আবুদল আজিককে বার বার কল করে পাওয়া যাচ্ছে না, ২০১৬ সনে ফ্লাট বুঝিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও ২০২৪ এ ও ফ্লাটের কাজ সম্পর্ন করছে না, গ্রাহকের ৯০% টাকা পরিশোধ। আজিজকে বার বার তাগিদ দেওয়ার পরেও কর্নপাত করছে না বলে জানা যায়। বাকী ১০% টাকা ব্যাংক লোনের জন্য আজিজের কাছে কাগজপত্র চেয়েও পাওয়া যাচ্ছে না।আজিজের গড়া পুর্বে প্রজেক্টেও রয়েছে দুর্নীতি মানা হয়নি রাজউকের আইন ও নীতি। নারায়ণগঞ্জ রাজউকের পরিচালক বরাবর অভিযোগের পত্র দেওয়া হলেও কোন ব্যবস্থা না নিয়ে নীরবতা পালন করছে কর্মকর্তারা। এই অভিযোগ পত্রের অনুলিপি কার্যার্থে দেওয়া হয়েছে রাজউকের চেয়ারম্যানকে, তবুও টনক নড়ছে না রাজউক-৮ জোনের কর্মকর্তাদের। বড় অংকের লেনদেনের কারনেই দুর্নীতিবাজের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে মনে করা হচ্ছে।
নারায়নগঞ্জের রাজউক-৮’র কর্মকর্তাদের নাকের ডগায় নকশা বহির্ভুত ভবন গড়ে উঠেছে এবং উঠতেছে। নারায়ণগঞ্জ সাইনবোর্ড এলাকায় সেন্টার প্লাজার আন্ডার গ্রাউন্ডে পার্কিং’র পরিবর্তে দোকান ও গোডাউন করে ভাড়া দিচ্ছে।আন্ডার গ্রাউন্ড ২তে নেই কোণ পার্কিং ব্যবস্থা কিন্তু নকশায় দেখানো হয়েছে।বহুতল ভবনে নেই ফায়ার ইকুপমেন্ট, দেদারছে চলছে মার্কেটের নির্মান কাজ। সড়ক ও জনপদের জমি দখল করে বা সড়ক ও জনপদের কর্মকর্তাদের অনৈতিক সুবিধা দিয়ে এনওসি এনে রাজউকের নকশা পাশ করিয়েছে বলে জানা যায়। রাস্তা থেকে ৩০ ফিট ছারার কথা থাকলেও কত ফিট ছেড়ে বহুতল ভবন করছে তা খতিয়ে দেখার জন্য আহবান করা হচ্ছে সড়ক ও জনপদ কর্মকর্তা এবং রাজউকের অফিসারদের। নারায়ণগঞ্জ রাজউক -৮’র অফিস টিপিএল টাওয়ারে রয়েছে অনিয়ম ও দুর্নীতি, কয়েকবার জরিমানা করেও মডিফাই করাতে পারে নাই টিপিএল ভবন। সেই ভবনেই রাজউকের অফিস। নীচ তলায় পার্কিং’র বদলে ভাড়া দিয়েছে গোডাউন। পাশে রয়েছে কে এম এস টাওয়ার, তার উওর পাশে রয়েছে আরেকটি বহুতল ভবন যার পার্কিং নাই। তার উওর পাশে রয়েছে আরও কয়েকটি চলমান প্রজেক্ট তাতেও রয়েছে অনিয়ম। এ ব্যাপারে রাজউক-৮’র পরিচালকসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা নীরব ভুমিকা পালন করছে। সিদ্দিরগঞ্জ ও শহরের চাষাড়া এলাকায় অনেক নকশা বহির্ভুত ভবন রয়েছে। সংবাদ প্রকাশ করার পরেও রাজউকের চেয়ারম্যান ও কর্মকর্তারা ঘুমের মধ্যে রয়েছে। এই অসাধু কর্মকর্তাদের কারনে, তাদের অবৈতিক সুবিধা নেওয়ার কারনে এভাবে নকশা বহির্ভুত ভবন তৈরি করছে দুর্নীতিবাজরা।
সুত্রমতে, চাষাড়ার ৬৯ নং প্লটে সুফিয়া কমপ্লেক্স ৯ তলার নকশায় তৈরি হয়েছে ১০ তলা। হক লিভিং লিমিটেড ৯ তলার নকশা নিয়ে কাজ শুরু করে ১ তলা পর্যন্ত তৈরি করে, পরবর্তিতে মালিক পরিবর্তন হয়ে আসে কমিটমেন্ট ডেভলোপার আবদুল আজিজ। শুরু হয় দুর্নীতি, ৯ তলার পরিবর্তে ১০ তলা, তার উপর মসজিদ, গ্রাউন্ড ফ্লোরে পার্কিং না করে বিক্রি করছে দোকান অফিস, চারদিকে রাজউকের কোড না মেনে তৈরি হচ্ছে ভবন। সময়মত ফ্লাট বুজে না পেয়ে হয়রানীর শিকার গ্রাহকরা। চাষাড়ার রুপায়ন টাওয়ারের সামনের এক সাইডে নকশা বহির্ভুত দোকান অপসারন করছে না রাজউক-৮ জোনের কর্মকর্তারা। জামতলা হীরা কমিউনিটি গলিতে আবাসিক এলাকার আবাসিক অনেক ভবনে গড়ে উঠেছে বানিজ্যিক বিভিন্ন দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কিন্তু কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না রাজউক-৮ জোনের পরিচালক। আবাসিক ভবন বাণিজ্যিককে রূপ দিলেও এই বিষয়ে মাথা ব্যাথা নেই রাজউক কর্মকর্তাদের।
চাষাড়া রুপায়নের পশ্চিম পাশে এক আওয়ামী-লীগ নেতার নিজের বিল্ডিং হচ্ছে নকশা বহির্ভূত এবং নেতার বাবার বিল্ডিং এর সামনে রাস্তার জমি দখল করে করছে অবৈধ স্থাপনা, রাজউক নিচ্ছে না কোন ব্যবস্থা।
এব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ রাজউক ৮ জোনের পরিচালককে কল করলে তিনি কল ধরেন নি, দুইজন অথারাইজড অফিসারকে কল করলেও তাহারা কল ধরেন নাই। রাজউকের চেয়ারম্যান্কে কল করলে তিনি বলেন যুগ্ম সচিবকে জানানোর জন্য কিন্তু যুগ্ম সচিবকে কল করলে তিনি কল ধরেন নাই। তাকে তার নাম্বারের হোয়াটস আপে খুদে মেসেজ পাঠিয়েও কোন রেসপন্স পাওয়া যায়নি।
Reporter Name 















