
মিঠু আহমেদঃ ৫ আগস্টের পর দেশের শিক্ষা-চিকিৎসা-অর্থনীতিসহ বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে চলমান রয়েছে সংস্কার কাজ। সেই লক্ষেই ব্যবসায়িক সংগঠন, প্রশাসন থেকে থানা পুলিশ এমনকি কাউন্সিলরের দায়িত্বে এসেছে নতুন মুখ। তবে সকল ক্ষেত্রে সংস্কার ঘটলেও নগরীর বর্জ্য অপসারণ ব্যবস্থাপনায়ও কি পরিবর্তনের দেখা মিলবে কিনা সেই প্রশ্ন জনমনে। নারায়ণগঞ্জে বর্জ ব্যবস্থাপনায় ব্যবস্থা নিচ্ছে না নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও সিটি কর্পোরেশন কর্মকর্তারা, ভোগান্তিত্র নারায়নগঞ্জবাসী।
কারণ সিটি কর্পোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডে যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে বর্জ্য, বাদ যায়নি নগরীর প্রধান সড়কও। বাসা-বাড়ি থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, দোকান, বাজার, হকার, ফলের আড়তের ময়লা এমকি কিছু ক্লিনিকের ইনজেকশন ও ঔষধের খোসাও ফেলা হচ্ছে খোলা মেলা জায়গায় ও সাধারন বর্হের সাথে। এদিকে এই ফেলে রাখা ময়লা আবর্জনা প্রতিনিয়ত সিটি কর্পোরেশন পরিষ্কার করায় সেই জায়গাগুলো হয়ে উঠেছে অঘোষিত ময়লার স্পট।
১১ নভেম্বর রোববার সড়েজমিনে দেখা যায় নগরীর বঙ্গবন্ধু সড়ক, নবাব সলিমুল্লাহ সড়ক ও নবাব সিরাজউদ্দৌলা সড়কেই আছে এমনই ছোট-বড় প্রায় অর্ধশতাধিক ময়লার স্পট। এই স্পটগুলোর আশেপাশে বসবাস বা চলাচলকারী মানুষদের জন্য এটি নিত্য দিনের ভোগান্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সারাদিন বর্জ্য জমে থাকার কারণে পুরো এলাকাজুড়ে ছড়াতে থাকে দুর্গন্ধ। এছাড়া, রাস্তায় আবর্জনা সংগ্রহের ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকার কারণে প্রায়শই সৃষ্টি হয় যানজট। যানবাহনে থাকা যাত্রীদের বাধ্য হয়েই বসে থাকতে হয় দুর্গন্ধের মধ্যে। এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পরছে নারায়ণগঞ্জবাসী।
নগরীর মেট্রোহল-কুমুদিনির রাস্তা দিয়ে নিয়মিত চলাচলকারীরা বলে, ‘সকালে ময়লা নিয়ে যাওয়ার পর থেকে সারা দিন জমতে থাকে ময়লা। তাছাড়া এখানে বেলা ১১ টায়ও ময়লা নেয়ার ট্রাক রাস্তার মাঝে দাড়িয়ে থাকে এবং জ্যাম লাগে। তবে এখানে যানজটের থেকেও অসহ্যকর হচ্ছে বর্জ্যের দুর্গন্ধ। সড়ক চিকন হওয়ার কারণে সারাদিন যে ময়লাটা থাকে সেটা রিকশা-অটোর চাকায় চাকায় সারা রাস্তায় ছড়িয়ে যায়। ময়লার উপর দিয়েই বাধ্য হয়েই চলতে হয় আমাদের। বিশেষ করে বিকেলের পর ময়লা বেশি জমে তাই এ রাস্তা দিয়ে চলাচলের মতো পরিবেশ থাকে না। এই একটা সড়কের ৩-৪ টা জায়গায় ময়লা ফেলা হয়। যেমন একটা মেট্রোহলের সামনে সড়কের বিপরতি পাশে, তারপর একটু এগিয়ে আসতেই কুমুদিনির গেট ঘেসে আরেকটা জায়গায় ময়লা ফেলা হয়, আবার আরেকটু সামনে আসতেই আমলাপাড়া মোড়ে তারপর কালিরবাজার ফলের আড়তের সামনে। একটা সড়কে যদি এতো ময়লা ফেলা থাকে তাহলে সেই এলাকায় মানুষ থাকে কিভাবে। সড়কের এই অংশগুলো দম বন্ধ করে পারাপার হতে হয়।’
যদি নগরীর অবস্থা এমন হয় তাহলে ৫টি উপজেলা, ৪৯টি ইউনিয়ন পরিষদ, ২টি পৌরসভা, ২৭ টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এই জেলার সমগ্র বর্জ অপসারণ ও ব্যবস্থাপনা কি সঠিক ভাবে সামলানো যাচ্ছে কিনা সেই নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। শহরের প্রান কেন্দ্র চাষাড়ার অবস্থা নিয়ে বিভিন্ন স্থানীয় পত্রিকা ও অনলাইন পোর্তালে নিউজ হলেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি জেলা প্রশাসক ও সিটি কর্পোরেশন।
Reporter Name 








