Dhaka 7:14 am, Friday, 7 November 2025

প্রতারনা ও চাদাবাজির মামলায় মা-মেয়ে গ্রেফতার

  • Reporter Name
  • Update Time : 09:13:10 pm, Monday, 7 April 2025
  • 107 Time View

 

মিজস্ব প্রতিনিধি : নিউমার্কেট থানাধীন মিনিতা প্লাজা নামক শপিং সেন্টারে ০৮ নং দোকানে ঘড়ির দোকান রয়েছে। উপরোক্ত আসামীদ্বয় মাঝে মাঝে বাদী র দোকানে ঘড়ি ক্রয়ের অজুহাতে আসতো এবং পরিচিত হওয়ার চেষ্টা করে। যার সুবাদে-২৮/০২/২০২৫ ইং বিকাল ০৩.০০ ঘটিকার সময় উপরোক্ত আসামীদ্বয় বাদী র দোকানে উপস্থিত হন। তখন বাদী র দোকানে আমার স্ত্রী আফরিন আক্তারও উপস্থিত ছিলো। ০১নং আসামী বাদীর নিকট বাদীর স্ত্রীকে দেখিয়ে বলে এই মেয়েটি কে, বাদী ও বাদীর স্ত্রী বলতেই ০১ নং আসামী বাদীর স্ত্রীকে মেয়ে বলে সম্মোধন করে বাদী র এবং বাদীদের ও তাদের মধ্যে মোবাইল নম্বর আদান প্রদান হয়। মোবাইল নম্বর আদান প্রদানের পরে ০২ নং আসামীর সাথে বাদীর স্ত্রীর মাঝে মাঝে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হোয়াটসআপ-এ যোগাযোগ করে। যোগাযোগের এক পর্যায়ে ০২ নং আসামী বাদীর স্ত্রীকে বলে আগামী ২০/০৩/২০২৫ খ্রি. তারিখ তোমাদের দোকানে বসে ইফতার করবো। বিষয়টি বাদীর স্ত্রী বাদীকে জানালে বাদী তাদের কথায় সম্মত হলে ইং-২০/০৩/২০২৫ তারিখ বিকালে উপরোক্ত আসামীদ্বয়সহ অজ্ঞাতনামা সীমান্ত নামের একজনকে সাথে নিয়ে বাদীদের দোকানে উপস্থিত হয়। উক্ত অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির পরিচয় জানতে চাইলে ০২ নং আসামী বলে সে তার পূর্ব পরিচিত, অনেকদিন পরে দেখা হয়েছে, তাই সাথে নিয়ে আসছে। পরবর্তীতে ০১ নং আসামী বাদীকে বলে যে, আসামীদের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো না, বাদীর মেয়ে সুরভীকে যদি ইদের সময় তোমার দোকানে কাজে রাখতে তাহলে ওর ইদের কেনাকাটা সহজ হতো। বাদী ০১নং আসামীর কথায় সরল বিশ্বাসে ০২নং আসামীকে বাদীর দোকানে সেলসম্যান হিসাবে কাজ করতে বলে। তারই প্রেক্ষিতে ০২নং আসামী বাদীর দোকানে ২১/০৩/২০২৫ খ্রি. তারিখ কাজ করলে তার কাজ বাদীর সন্দেহজনক হওয়ায় বাদী তাকে দোকানে আসতে নিষেধ করে। কিন্তু ০২নং বিবাদী বাদীর নিষেধের পরেও ২২/০৩/২০২৫ খ্রি. তারিখ দোকানে চলে যায়। দোকানে যাওয়ার কিছু সময় পরে দুপুর ০১.৩০ ঘটিকার সময় ০২নং আসামী অসুস্থার ভান করলে বাদী ও বাদীর স্ত্রী মিলে তাকে বাদীদের বাসায় নিয়ে যাই। বাদী ০২নং আসামীকে নিয়ে বাদীর বাসায় পৌছে ০২নং আসামীর মাতা ০১নং আসামীকে তার মেয়ের অসুস্থতার কথা বলে তাকে তার মেয়েকে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। তখন ০১নং আসামী বাদীকে বলে যে, “সমস্যা নাই তুমি গাড়িতে তুলে দেও”। ০২নং আসামী কিছুটা সুস্থ হয়েছে বলে ও ০১নং আসামীর কথায় সরল বিশ্বাসে বাদী ও বাদীর স্ত্রী মিলে নিউমার্কেট থানাধীন সাইন্সল্যাব মোড় হতে ২২/০৩/২০২৫ খ্রি. তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ০৫.০০ ঘটিকার সময় ০২নং আসামী একটি বাসে উঠাইয়া দেয়। ইং-২২/০৩/২০২৫ তারিখ রাত অনুমান ০৮.০০ ঘটিকার সময় ০১নং আসামী বাদীকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানায় যে, সুলতানা এখনও বাসায় পৌছায় নাই এবং ফোনও ধরতেছে না, বাদী তাৎক্ষনিক ০২ নং আসামীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তার মোবাইল-এ কল ঢুকলেও কল ধরে না। তার কিছু সময় পরে ০১নং আসামী বাদীকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানায় তার মেয়ে কিডনাফ হয়েছে, তাকে মুক্তিপন হিসাবে ২০,০০,০০০/- (বিশ লক্ষ) টাকা দাবি করতেছে, তার মেয়ে বাদীর দোকানে কাজ করতে যেয়ে হারিয়েছে, কাজেই তার মেয়েকে উক্ত টাকা দিয়ে উদ্ধার করে বাদীকে বুঝিয়ে দিতে বলে। বাদী ০১নং আসামীর কথায় প্রতিবাদ করে বলে যে, আপনার মেয়ে বাদীর দোকানে কাজ করে, তাকে বাসায় পৌছে দেওয়ার দায়িত্ব আসামীর না। তখন ০১নং আসামী বাদীকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকী প্রদান করে। পরবর্তীতে ২৩/০৩/২০২৫ খ্রি. তারিখ দুপুর ১২.৩৯ ঘটিকায় অজ্ঞাতনামা আসামীর হোয়াটসআপ নম্বর ০১৪০৮৭৩৮৯৭৫ হতে বাদীর স্ত্রীর হোয়াটসআপ নম্বর-০১৭৩৮২৫০৪২৩ তে ম্যাসেজ এর মাধ্যমে জানায় যে, সুলতানাকে পাওয়া গেছে, যেখানে সুলতানা আছে সেখানের লোকজন সুলতানাকে গাড়িতে তুলে দিবে। তার কিছু সময় পরে ০২ নং আসামী বাদীর স্ত্রীকে কল করে বলে আপু বাদী ছাড়া পাইছি, আমি কিডনাপারদের নিকট হতে কৌশলে পালিয়ে আসছে। ইং-২৪/০৩/২০২৫ খ্রি. তারিখ বেলা-১১.৩৮ ঘটিকায় অজ্ঞাতনামা আসামী সীমান্ত তার উপরোক্ত মোবাইল নং হতে বাদীর স্ত্রীকে ফোন করে বলে, আপু সুলতানাকে তো পাওয়া গেছে, কিন্তু সুলতানার আম্মু ঘরে আটকা পড়েছে, আপনি যদি একটু আসতেন, তাহলে বাদী আর আপনি যেয়ে সুলতানার আপুকে উদ্ধার করার কথা বলে বাদীর স্ত্রীকে জিম্মি করে মুক্তিপন আদায়ের চেষ্টা করে। বিষয়টি বাদীর স্ত্রী বাদীকে জানালে বাদী উক্ত অজ্ঞাত আসামীর মোবাইল নম্বর কল করে বাদীর স্ত্রীকে ডাকার কারন জানতে চাইলে উক্ত অজ্ঞাতনামা আসামী আবোল তাবল বলতে থাকে, তখন বাদী তার নামে মামলা করতে চাইলে উক্ত অজ্ঞাতনামা আসামী বলে আসামী কিছু জানি না, সব কিছু সুলতানার আম্মু জানে। পরবর্তীতে ০১ নং আসামী বাদীকে কল করে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি প্রদান করে বলে তুই আমাকে ২০,০০,০০০/- (বিশ লক্ষ) টাকা প্রদান করবি, আর যদি টাকা না দিস তবে তুই কিভাবে ওখানে ব্যাবসা করিস দেখবে, তোর দোকান তছনছ করে দেবে। এই বিষয়ে বাদী ইং ০৭/০৪/২৫ তারিখ সময় ২১:১৫ ঘটিকার সময় থানায় আসিয়া পরস্পর যোগসাজসে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে মিথ্যা নাটক সাজিয়ে চাঁদা দাবী করার অপরাধে এজাহার দায়ের করলে নিউমার্কেট থানার মামলা নং-০২, তাং-০৭/০৪/২০২৫, ধারা-৪২০/৩৮৭/৩৪ পেনাল কোডে নিয়মিত মামলা রুজু রুজু করা হয়। মামলা তদন্তকারী অফিসার এসআই (নিঃ) বদিউজ্জামান ও সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সের সহায়তায় ডিজিটাল ডিভাইসের সহায়তায় আমাসীর মোবাইলের LAC-CELL নির্ণয় করে মামলার এজাহার নামীয় আসামী ১। বিথী হাওয়া @ বিবী হাওয়া (৩৮), পিতা-চোধুরী মিয়া, মাতা-বদরের নেছা, স্থায়ী সাং-এস ৬৮/১, রাস্তা-ব্যাংক কলোনী, সাভার পৌরসভা, থানা-সাভার, জেলা-ঢাকা ২। সুরভী সুলতানা (২০), পিতা-মৃত কাজী দুলাল হোসেন, মাতা-বিথী হাওয়া, সাং-সাভার ব্যাংক কলোনী, থানা-সাভার, জেলা-ঢাকাদ্বয়কে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ সহ বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করার প্রক্রিয়াধীন।

দাখিলকারী

অফিসার ইনচার্জ
নিউমার্কেট থানা, ডিএমপি, ঢাকা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

প্রতারনা ও চাদাবাজির মামলায় মা-মেয়ে গ্রেফতার

Update Time : 09:13:10 pm, Monday, 7 April 2025

 

মিজস্ব প্রতিনিধি : নিউমার্কেট থানাধীন মিনিতা প্লাজা নামক শপিং সেন্টারে ০৮ নং দোকানে ঘড়ির দোকান রয়েছে। উপরোক্ত আসামীদ্বয় মাঝে মাঝে বাদী র দোকানে ঘড়ি ক্রয়ের অজুহাতে আসতো এবং পরিচিত হওয়ার চেষ্টা করে। যার সুবাদে-২৮/০২/২০২৫ ইং বিকাল ০৩.০০ ঘটিকার সময় উপরোক্ত আসামীদ্বয় বাদী র দোকানে উপস্থিত হন। তখন বাদী র দোকানে আমার স্ত্রী আফরিন আক্তারও উপস্থিত ছিলো। ০১নং আসামী বাদীর নিকট বাদীর স্ত্রীকে দেখিয়ে বলে এই মেয়েটি কে, বাদী ও বাদীর স্ত্রী বলতেই ০১ নং আসামী বাদীর স্ত্রীকে মেয়ে বলে সম্মোধন করে বাদী র এবং বাদীদের ও তাদের মধ্যে মোবাইল নম্বর আদান প্রদান হয়। মোবাইল নম্বর আদান প্রদানের পরে ০২ নং আসামীর সাথে বাদীর স্ত্রীর মাঝে মাঝে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হোয়াটসআপ-এ যোগাযোগ করে। যোগাযোগের এক পর্যায়ে ০২ নং আসামী বাদীর স্ত্রীকে বলে আগামী ২০/০৩/২০২৫ খ্রি. তারিখ তোমাদের দোকানে বসে ইফতার করবো। বিষয়টি বাদীর স্ত্রী বাদীকে জানালে বাদী তাদের কথায় সম্মত হলে ইং-২০/০৩/২০২৫ তারিখ বিকালে উপরোক্ত আসামীদ্বয়সহ অজ্ঞাতনামা সীমান্ত নামের একজনকে সাথে নিয়ে বাদীদের দোকানে উপস্থিত হয়। উক্ত অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির পরিচয় জানতে চাইলে ০২ নং আসামী বলে সে তার পূর্ব পরিচিত, অনেকদিন পরে দেখা হয়েছে, তাই সাথে নিয়ে আসছে। পরবর্তীতে ০১ নং আসামী বাদীকে বলে যে, আসামীদের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো না, বাদীর মেয়ে সুরভীকে যদি ইদের সময় তোমার দোকানে কাজে রাখতে তাহলে ওর ইদের কেনাকাটা সহজ হতো। বাদী ০১নং আসামীর কথায় সরল বিশ্বাসে ০২নং আসামীকে বাদীর দোকানে সেলসম্যান হিসাবে কাজ করতে বলে। তারই প্রেক্ষিতে ০২নং আসামী বাদীর দোকানে ২১/০৩/২০২৫ খ্রি. তারিখ কাজ করলে তার কাজ বাদীর সন্দেহজনক হওয়ায় বাদী তাকে দোকানে আসতে নিষেধ করে। কিন্তু ০২নং বিবাদী বাদীর নিষেধের পরেও ২২/০৩/২০২৫ খ্রি. তারিখ দোকানে চলে যায়। দোকানে যাওয়ার কিছু সময় পরে দুপুর ০১.৩০ ঘটিকার সময় ০২নং আসামী অসুস্থার ভান করলে বাদী ও বাদীর স্ত্রী মিলে তাকে বাদীদের বাসায় নিয়ে যাই। বাদী ০২নং আসামীকে নিয়ে বাদীর বাসায় পৌছে ০২নং আসামীর মাতা ০১নং আসামীকে তার মেয়ের অসুস্থতার কথা বলে তাকে তার মেয়েকে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। তখন ০১নং আসামী বাদীকে বলে যে, “সমস্যা নাই তুমি গাড়িতে তুলে দেও”। ০২নং আসামী কিছুটা সুস্থ হয়েছে বলে ও ০১নং আসামীর কথায় সরল বিশ্বাসে বাদী ও বাদীর স্ত্রী মিলে নিউমার্কেট থানাধীন সাইন্সল্যাব মোড় হতে ২২/০৩/২০২৫ খ্রি. তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ০৫.০০ ঘটিকার সময় ০২নং আসামী একটি বাসে উঠাইয়া দেয়। ইং-২২/০৩/২০২৫ তারিখ রাত অনুমান ০৮.০০ ঘটিকার সময় ০১নং আসামী বাদীকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানায় যে, সুলতানা এখনও বাসায় পৌছায় নাই এবং ফোনও ধরতেছে না, বাদী তাৎক্ষনিক ০২ নং আসামীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তার মোবাইল-এ কল ঢুকলেও কল ধরে না। তার কিছু সময় পরে ০১নং আসামী বাদীকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানায় তার মেয়ে কিডনাফ হয়েছে, তাকে মুক্তিপন হিসাবে ২০,০০,০০০/- (বিশ লক্ষ) টাকা দাবি করতেছে, তার মেয়ে বাদীর দোকানে কাজ করতে যেয়ে হারিয়েছে, কাজেই তার মেয়েকে উক্ত টাকা দিয়ে উদ্ধার করে বাদীকে বুঝিয়ে দিতে বলে। বাদী ০১নং আসামীর কথায় প্রতিবাদ করে বলে যে, আপনার মেয়ে বাদীর দোকানে কাজ করে, তাকে বাসায় পৌছে দেওয়ার দায়িত্ব আসামীর না। তখন ০১নং আসামী বাদীকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকী প্রদান করে। পরবর্তীতে ২৩/০৩/২০২৫ খ্রি. তারিখ দুপুর ১২.৩৯ ঘটিকায় অজ্ঞাতনামা আসামীর হোয়াটসআপ নম্বর ০১৪০৮৭৩৮৯৭৫ হতে বাদীর স্ত্রীর হোয়াটসআপ নম্বর-০১৭৩৮২৫০৪২৩ তে ম্যাসেজ এর মাধ্যমে জানায় যে, সুলতানাকে পাওয়া গেছে, যেখানে সুলতানা আছে সেখানের লোকজন সুলতানাকে গাড়িতে তুলে দিবে। তার কিছু সময় পরে ০২ নং আসামী বাদীর স্ত্রীকে কল করে বলে আপু বাদী ছাড়া পাইছি, আমি কিডনাপারদের নিকট হতে কৌশলে পালিয়ে আসছে। ইং-২৪/০৩/২০২৫ খ্রি. তারিখ বেলা-১১.৩৮ ঘটিকায় অজ্ঞাতনামা আসামী সীমান্ত তার উপরোক্ত মোবাইল নং হতে বাদীর স্ত্রীকে ফোন করে বলে, আপু সুলতানাকে তো পাওয়া গেছে, কিন্তু সুলতানার আম্মু ঘরে আটকা পড়েছে, আপনি যদি একটু আসতেন, তাহলে বাদী আর আপনি যেয়ে সুলতানার আপুকে উদ্ধার করার কথা বলে বাদীর স্ত্রীকে জিম্মি করে মুক্তিপন আদায়ের চেষ্টা করে। বিষয়টি বাদীর স্ত্রী বাদীকে জানালে বাদী উক্ত অজ্ঞাত আসামীর মোবাইল নম্বর কল করে বাদীর স্ত্রীকে ডাকার কারন জানতে চাইলে উক্ত অজ্ঞাতনামা আসামী আবোল তাবল বলতে থাকে, তখন বাদী তার নামে মামলা করতে চাইলে উক্ত অজ্ঞাতনামা আসামী বলে আসামী কিছু জানি না, সব কিছু সুলতানার আম্মু জানে। পরবর্তীতে ০১ নং আসামী বাদীকে কল করে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি প্রদান করে বলে তুই আমাকে ২০,০০,০০০/- (বিশ লক্ষ) টাকা প্রদান করবি, আর যদি টাকা না দিস তবে তুই কিভাবে ওখানে ব্যাবসা করিস দেখবে, তোর দোকান তছনছ করে দেবে। এই বিষয়ে বাদী ইং ০৭/০৪/২৫ তারিখ সময় ২১:১৫ ঘটিকার সময় থানায় আসিয়া পরস্পর যোগসাজসে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে মিথ্যা নাটক সাজিয়ে চাঁদা দাবী করার অপরাধে এজাহার দায়ের করলে নিউমার্কেট থানার মামলা নং-০২, তাং-০৭/০৪/২০২৫, ধারা-৪২০/৩৮৭/৩৪ পেনাল কোডে নিয়মিত মামলা রুজু রুজু করা হয়। মামলা তদন্তকারী অফিসার এসআই (নিঃ) বদিউজ্জামান ও সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সের সহায়তায় ডিজিটাল ডিভাইসের সহায়তায় আমাসীর মোবাইলের LAC-CELL নির্ণয় করে মামলার এজাহার নামীয় আসামী ১। বিথী হাওয়া @ বিবী হাওয়া (৩৮), পিতা-চোধুরী মিয়া, মাতা-বদরের নেছা, স্থায়ী সাং-এস ৬৮/১, রাস্তা-ব্যাংক কলোনী, সাভার পৌরসভা, থানা-সাভার, জেলা-ঢাকা ২। সুরভী সুলতানা (২০), পিতা-মৃত কাজী দুলাল হোসেন, মাতা-বিথী হাওয়া, সাং-সাভার ব্যাংক কলোনী, থানা-সাভার, জেলা-ঢাকাদ্বয়কে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ সহ বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করার প্রক্রিয়াধীন।

দাখিলকারী

অফিসার ইনচার্জ
নিউমার্কেট থানা, ডিএমপি, ঢাকা।