Dhaka 11:44 pm, Wednesday, 12 November 2025

বন্দরের নবীগঞ্জে সিটি টোল আদায়ের নামে চলছে ব্যাপক চাঁদাবাজ

  • Reporter Name
  • Update Time : 07:04:26 pm, Friday, 9 May 2025
  • 127 Time View
বন্দর প্রতিনিধি: বন্দরে সিটি টোল আদায় করার নামে মাসুদ রানার পরিবহনে চাঁদাবাজির বিষয়টি নিয়ে সর্ব মহলে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা দেখা দিয়েছে। সিটি করপোরেশন টোল আদায়ের জন্য যে শর্তাবলী দিয়েছে তাকে তোয়াক্কা না করে মনগড়া মত চালাচ্ছে তার কার্যক্রম। অলিখিত ভাবে ক্ষমতাসীন বিএনপির নেতা বনে যাওয়া মাসুদ রানা প্রকাশ্য চাঁদাবাজির সাথে সিটি করপোরেশনের ২/৩ জন অসাধু কর্মকর্তা জড়িত রয়েছে বলে সচেতন মহলের ভাষ্য। তাদের যোগসাজশে ধরাকে সরা ঞ্জান করে যাচ্ছে নাসিক ২৪ নং ওর্য়াডের ইসলামবাগ এলাকার মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে মাসুদ রানা। সিটি টোল আদায়ের নামে পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজির বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের কঠোর জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছে খোদ বিএনপির নেতাকর্মীসহ ভুক্তভোগীরা।
সূত্র মতে, নারায়নগঞ্জের কামাল উদ্দিনের মোড় সিটি টোল আদায়ের ইজারা দেয়। গত বছরের চেয়ে প্রায় অর্ধকোটি টাকা কমে প্রায় ৪১ লাখ ৬৬ হাজার ৫শত টাকায় চলতি বছরের ইজারা পায় বিএনপির কথিত নেতা মাসুদ রানা। অলিখিত ভাবে ক্ষমতাসীন দল বিএনপির কথিত নেতা মাসুদ রানা ইজারা নিয়েই শুরু করে লংকাকান্ড। সিডিউল বা সিটির নিয়মকে তোয়াক্কা না করে স্কুলের রাস্তায় টোল আদায় শুরু করে যা নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা দেখা মিলেছে। সিডিউলে উল্লেখ আছে, মিশুক, অটো, সিএনজি (থ্রি হুইলার)প্রতি ২০ টাকা। যা দিনে একবার পরিশোধ করতে হবে। সেখানে বর্তমান ইজারাদার মাসুদ রানা সিটির নিয়ম ডোন্ট কেয়ার মোডে নিজের মনগড়া নিয়ম বা আইনে চলছে। মাসুদ রানার চাঁদাবাজিতে সিএনজি স্ট্যান্ডের লাইনম্যান শাহাজালাল, অটো স্ট্যান্ডের লাইন ম্যান মোসলেউদ্দিন ওরফে মুসনা, মিশুক স্ট্যান্ডের স্বপনরা সার্বিকভাবে সহযোগিতা করছে।
অটো থেকে ৫০ টাকা আর লাইনম্যান থাকলে আরো ১০ টাকা মোট ৬০ টাকা গুনতে হচ্ছে একজন অটো চালককে। নবীগঞ্জ খেয়াঘাটের সিএনজি হতে ৪০ টাকা, একই খেয়াঘাটের স্ট্যান্ড হতে মিশুক ৪০ টাকা, লাইনম্যান থাকলে ১০ টাকাসহ মোট ৫০ টাকা গুনতে হয় একজন চালককে। এখানেই শেষ নয়, কামাল উদ্দিনের মোড় হতে বন্দর লাইনের গাড়ী প্রতি ৩০ টাকা করে নেয়া হচ্ছে। সিটি করপোরেশনের নিয়ম অনুযায়ী (সিডিউলে স্পষ্ট ভাবে লেখা আছে)ফেরীর গাড়ীর টোল আদায়ে সম্পন্ন নিষেধ থাকলেও নতুন ইজারাদার মাসুদ রানার কাছে নতুন নিয়ম গাড়ী পাড় হলেই দিতে হবে টাকা। একটি গাড়ী ফেরীতে আবার সিটিতে ২ জায়গায় টোল গুনতে হচ্ছে।
সূত্রে আরো প্রকাশ, বর্তমান ফেরীর দায়িত্বে আছেন বিএনপির আরেক নেতা রাসেল মিয়া। জনশ্রুতি আছে রাসেল মিয়াকে ম্যানেজ করেই নাকি ইজারাদার মাসুদ রানা ফেরীর গাড়ী থেকেও আবার কামাল উদ্দিনের মোড়ে কাউন্টার বসিয়ে টোল আদায় করছে।
টোকেন ব্যবসা—-
বন্দরের নবীগঞ্জ ঘাটের প্রতিটি অটোবাইকে স্টিকার ২০৫০ টাকা, মিশুক গাড়ীতে ১৫০০ টাকা করে নেয়া হচ্ছে বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ড্রাইভার জানান। ভয়ে কেউ মুখতে সাহস পাচ্ছে না। কোন ড্রাইভার তার কথার চুল পরিমান অবাধ্য হলে তার উপর নেমে আসে চরম নির্যাতনের খরগ। কিছুদিন পূর্বে কয়েকজন ড্রাইভার এর প্রতিবাদ করতে গেলে তাদেরকে মারধর করা হয় এবং ভবিষ্যতের জন্য সোজা হয়ে যেতে। অন্যথায় গাড়ী চালিয়ে খেতে হবে না বলেও মাসুদ রানা হুমকি দেয়।
নতুন ইজারাদার মাসুদ রানা সিটি টোল আদায়ের নামে যেভাবে চাঁদাবাজির বাজার বসিয়েছে। সিটির না মাসুদ রানার মনগড়া নিয়মে চলবে টোল আদায়ের বিষয়টি। বিষয়টি সিটি করপোরেশন বাজার কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম জেনেও নীরব ভূমিকা পালন করেছে।
এ বিষয়ে জানতে জহিরুল ইসলামের বাংলালিংক নাম্বারে একাধিক ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি।
স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকারের কর্মকান্ডকে হার মানিয়ে নবীগঞ্জকে চাঁদাবাজির নবীগঞ্জকে চাঁদাবাজির আখড়ায় পরিনত করেছে। গত ৫ আগস্টের পর থেকে মাসুদ রানা নানা অপকর্মের জন্ম দিয়ে অনেকটা খবরের শিরোনাম হয়েছে। মেলা বসানো, অন্যলোকের বাড়ি দখল করে দেয়াসহ এবার মাসুদ রানা নবীগঞ্জ এলাকায় পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজির বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে এলাকাবাসীকে।
ইজারাদার মাসুদ রানা না সিটির নিয়মে টোল আদায়ের জন্য সিও, ও প্রশাসকের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভুক্তভোগীরা। সেই সাথে স্টিকার ব্যবসাসহ উল্লেখিত অভিযোগগুলো তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের আশা ব্যক্ত করেছে সচেতন মহল।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

বন্দরের নবীগঞ্জে সিটি টোল আদায়ের নামে চলছে ব্যাপক চাঁদাবাজ

Update Time : 07:04:26 pm, Friday, 9 May 2025
বন্দর প্রতিনিধি: বন্দরে সিটি টোল আদায় করার নামে মাসুদ রানার পরিবহনে চাঁদাবাজির বিষয়টি নিয়ে সর্ব মহলে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা দেখা দিয়েছে। সিটি করপোরেশন টোল আদায়ের জন্য যে শর্তাবলী দিয়েছে তাকে তোয়াক্কা না করে মনগড়া মত চালাচ্ছে তার কার্যক্রম। অলিখিত ভাবে ক্ষমতাসীন বিএনপির নেতা বনে যাওয়া মাসুদ রানা প্রকাশ্য চাঁদাবাজির সাথে সিটি করপোরেশনের ২/৩ জন অসাধু কর্মকর্তা জড়িত রয়েছে বলে সচেতন মহলের ভাষ্য। তাদের যোগসাজশে ধরাকে সরা ঞ্জান করে যাচ্ছে নাসিক ২৪ নং ওর্য়াডের ইসলামবাগ এলাকার মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে মাসুদ রানা। সিটি টোল আদায়ের নামে পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজির বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের কঠোর জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছে খোদ বিএনপির নেতাকর্মীসহ ভুক্তভোগীরা।
সূত্র মতে, নারায়নগঞ্জের কামাল উদ্দিনের মোড় সিটি টোল আদায়ের ইজারা দেয়। গত বছরের চেয়ে প্রায় অর্ধকোটি টাকা কমে প্রায় ৪১ লাখ ৬৬ হাজার ৫শত টাকায় চলতি বছরের ইজারা পায় বিএনপির কথিত নেতা মাসুদ রানা। অলিখিত ভাবে ক্ষমতাসীন দল বিএনপির কথিত নেতা মাসুদ রানা ইজারা নিয়েই শুরু করে লংকাকান্ড। সিডিউল বা সিটির নিয়মকে তোয়াক্কা না করে স্কুলের রাস্তায় টোল আদায় শুরু করে যা নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা দেখা মিলেছে। সিডিউলে উল্লেখ আছে, মিশুক, অটো, সিএনজি (থ্রি হুইলার)প্রতি ২০ টাকা। যা দিনে একবার পরিশোধ করতে হবে। সেখানে বর্তমান ইজারাদার মাসুদ রানা সিটির নিয়ম ডোন্ট কেয়ার মোডে নিজের মনগড়া নিয়ম বা আইনে চলছে। মাসুদ রানার চাঁদাবাজিতে সিএনজি স্ট্যান্ডের লাইনম্যান শাহাজালাল, অটো স্ট্যান্ডের লাইন ম্যান মোসলেউদ্দিন ওরফে মুসনা, মিশুক স্ট্যান্ডের স্বপনরা সার্বিকভাবে সহযোগিতা করছে।
অটো থেকে ৫০ টাকা আর লাইনম্যান থাকলে আরো ১০ টাকা মোট ৬০ টাকা গুনতে হচ্ছে একজন অটো চালককে। নবীগঞ্জ খেয়াঘাটের সিএনজি হতে ৪০ টাকা, একই খেয়াঘাটের স্ট্যান্ড হতে মিশুক ৪০ টাকা, লাইনম্যান থাকলে ১০ টাকাসহ মোট ৫০ টাকা গুনতে হয় একজন চালককে। এখানেই শেষ নয়, কামাল উদ্দিনের মোড় হতে বন্দর লাইনের গাড়ী প্রতি ৩০ টাকা করে নেয়া হচ্ছে। সিটি করপোরেশনের নিয়ম অনুযায়ী (সিডিউলে স্পষ্ট ভাবে লেখা আছে)ফেরীর গাড়ীর টোল আদায়ে সম্পন্ন নিষেধ থাকলেও নতুন ইজারাদার মাসুদ রানার কাছে নতুন নিয়ম গাড়ী পাড় হলেই দিতে হবে টাকা। একটি গাড়ী ফেরীতে আবার সিটিতে ২ জায়গায় টোল গুনতে হচ্ছে।
সূত্রে আরো প্রকাশ, বর্তমান ফেরীর দায়িত্বে আছেন বিএনপির আরেক নেতা রাসেল মিয়া। জনশ্রুতি আছে রাসেল মিয়াকে ম্যানেজ করেই নাকি ইজারাদার মাসুদ রানা ফেরীর গাড়ী থেকেও আবার কামাল উদ্দিনের মোড়ে কাউন্টার বসিয়ে টোল আদায় করছে।
টোকেন ব্যবসা—-
বন্দরের নবীগঞ্জ ঘাটের প্রতিটি অটোবাইকে স্টিকার ২০৫০ টাকা, মিশুক গাড়ীতে ১৫০০ টাকা করে নেয়া হচ্ছে বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ড্রাইভার জানান। ভয়ে কেউ মুখতে সাহস পাচ্ছে না। কোন ড্রাইভার তার কথার চুল পরিমান অবাধ্য হলে তার উপর নেমে আসে চরম নির্যাতনের খরগ। কিছুদিন পূর্বে কয়েকজন ড্রাইভার এর প্রতিবাদ করতে গেলে তাদেরকে মারধর করা হয় এবং ভবিষ্যতের জন্য সোজা হয়ে যেতে। অন্যথায় গাড়ী চালিয়ে খেতে হবে না বলেও মাসুদ রানা হুমকি দেয়।
নতুন ইজারাদার মাসুদ রানা সিটি টোল আদায়ের নামে যেভাবে চাঁদাবাজির বাজার বসিয়েছে। সিটির না মাসুদ রানার মনগড়া নিয়মে চলবে টোল আদায়ের বিষয়টি। বিষয়টি সিটি করপোরেশন বাজার কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম জেনেও নীরব ভূমিকা পালন করেছে।
এ বিষয়ে জানতে জহিরুল ইসলামের বাংলালিংক নাম্বারে একাধিক ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি।
স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকারের কর্মকান্ডকে হার মানিয়ে নবীগঞ্জকে চাঁদাবাজির নবীগঞ্জকে চাঁদাবাজির আখড়ায় পরিনত করেছে। গত ৫ আগস্টের পর থেকে মাসুদ রানা নানা অপকর্মের জন্ম দিয়ে অনেকটা খবরের শিরোনাম হয়েছে। মেলা বসানো, অন্যলোকের বাড়ি দখল করে দেয়াসহ এবার মাসুদ রানা নবীগঞ্জ এলাকায় পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজির বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে এলাকাবাসীকে।
ইজারাদার মাসুদ রানা না সিটির নিয়মে টোল আদায়ের জন্য সিও, ও প্রশাসকের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভুক্তভোগীরা। সেই সাথে স্টিকার ব্যবসাসহ উল্লেখিত অভিযোগগুলো তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের আশা ব্যক্ত করেছে সচেতন মহল।