
সোনারগাঁ প্রতিনিধিঃ সোনারগাঁ থানার বৈদ্যের বাজার ইউনিয়নের হিন্দুদের জমি দখল, গ্রামবাসীর চলাচলের বৃট্রিশ আমলের রাস্তা, নদীতে গোসল করার জায়গা বন্ধ করে নদী দখলে আমান গ্রুপ।। সরকারি খাল ভরাট, পাকিস্তান আমলের রাস্তা দিয়ে হাড়িয়া ও গামতলিবাসী হেটে পাকিস্তান বাজার ও বৈদ্যের বাজার যাতায়ত করত বলে সুত্রে জানা যায়। তারা আরো বলেন ভুয়া লোক দিয়ে জাল দলিল বানিয়ে দালাল চক্রের মাধ্যমে অনেক জমি হাতিয়ে নিয়েছে আমান গ্রুপ। গ্রামের প্রভাবশালী কিছু লোক সিন্ডিকেট করে আমান গ্রুপের কাছে জালিয়াতির মাধ্যমে নদী গর্বের খাস জমি বিক্রি করেছে বলে জানায় গ্রামের কয়েকজন লোক।
সোনারগাঁ উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের আনন্দবাজার এলাকার টেঙ্গারচরে গিয়ে দেখা যায়, মেঘনা নদী দখলের প্রতিযোগিতা চলছে। দেশের বড় বড় শিল্প-কারখানার মালিকরা এর সঙ্গে জড়িত। স্থানীয় প্রভাবশালী মহল, চেয়ারম্যান-মেম্বারদের হাত করে নির্বিঘ্নে নদীর জমি দখল করছে তারা। এতে দিন দিন ছোট হয়ে
তবে আমান গ্রুপের জ্যেষ্ঠ মহাব্যবস্থাপক রবিউল হোসাইন প্রতিবেদককে জানায়, নদীর তীরবর্তী স্থানে তাঁরা সিমেন্ট কারখানা নির্মাণ করছেন স্থানীয়দের কাছ থেকে জমি কিনে। সেখানে মেঘনা নদীর কোনো জমি নেই।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বড় প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যক্তিমালিকানাধীন দুই বিঘা জমি কেনে, সঙ্গে আরো ১০ বিঘা খাসজমি দখল করে নেয়। এ জন্য স্থানীয় একটি দালাল শ্রেণি গড়ে উঠেছে। যারা জমি কেনা, খাসজমি দখল এবং নদীর জমি কেনার বানোয়াট দলিল-পর্চা তৈরি করে দলিল রেজিস্ট্রির জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করে। বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু ও শীতলক্ষ্যা নদীর পর এখন মেঘনাও হুমকির মুখে। প্রতিদিনই নদী দখল-ভরাট চলছে। প্রভাবশালী ব্যক্তিরা এর সঙ্গে জড়িত। স্থানীয় একটি দালালচক্র এদের সহযোগী হিসেবে কাজ করছে। তারা সাধারণ মানুষকে ফুসলিয়ে, হুমকি দিয়ে নদীর তীরবর্তী ধানিজমি কম টাকায় কিনে নিচ্ছে। কেউ না বেচলে তার জমি জোর করে দখলে নিচ্ছে।
ভূমি ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী জেলা প্রশাসনের পক্ষে সরকারি খাসজমি রক্ষার দায়িত্ব সোনারগাঁ এসি ল্যান্ড অফিসের। তালিকা করে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা তাদের। কেউ সরকারি জমির ওপর অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করলে তা উচ্ছেদের দায়িত্বও তাদের। তবে মেঘনার জমি দখলের বিষয়ে জানতে সোনারগাঁ এসি ল্যান্ড অফিসে গিয়েও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এ পর্যন্ত নদীর কী পরিমাণ জমি দখল হয়েছে সে বিষয়ে কোনো তথ্য এসি ল্যান্ড অফিসের কেউ জানাতে পারেননি।
Reporter Name 















