Dhaka 6:33 am, Friday, 7 November 2025

মোহাম্মদ উল্লাহ’র পাপাচার, উৎকোচ ছাড়া কোন কাজ করে না

  • Reporter Name
  • Update Time : 05:26:30 pm, Tuesday, 28 January 2025
  • 156 Time View

 

সোনারগাঁও প্রতিনিধি :  সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর ক্যাশিয়ার  মোহাম্মদ উল্লাহ’র পাপাচার। উৎকোচ ছাড়া কোন কাজ করেন না,  সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর হিসাব রক্ষক (ক্যাশিয়ার) মোহাম্মদ উল্লাহ’র বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়,দীর্ঘ ১৫ বছর যাবত আওয়ামী লীগ ও তার দোসরদের সহায়তায় এ হাসপাতালে চাকুরী করছেন মোঃ উল্লাহ। চাকুরী জীবনের শুরুতে নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে যোগদান করলেও পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ ও তার দোসরদের ম্যানেজ করে খুব দ্রুতই অফিস সহকারী হয়ে ওঠেন। ঠিক তখনি নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ইশারায় ক্যাশিয়ারের দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে হয়েযান কোটিপতি। তথ্যা অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা যায় সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পিছনে রয়েছে তার নিজস্ব একটি জায়গায়। ওইখানে গড়ে তুলেছেন পাঁচতলা একটি ভবন। যাহা একজন তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীর শুধুমাত্র বেতনের টাকায় করা অসম্ভব। অত্র স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আশেপাশের লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায় অতীতে কোন প্রকার টেন্ডার ছাড়াই মোহাম্মদ উল্লাহ হাসপাতালের বিভিন্ন মালামাল সরিয়ে বিক্রি করেছেন,এই কাজ করতে গিয়ে বিভিন্ন সময় এলাকাবাসীর হাতে ধরা পড়ে গনপিটুনির স্বীকার হয়েছেন। বিগত প্রায় বছর তিন আগে হাসপাতালের প্রধান ফটকে তার চুরিকৃত মালামালসহ এলাকাবাসী তাকে আটক করে মারধর করেন। সে সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা স্বাস্থ্য ও প:প:কর্মকর্তা ডা:পলাশ কুমার সাহা এর হস্তক্ষেপে এলাকাবাসী তাকে ছেড়ে দেন। এছাড়াও বন বিভাগের অনুমোদন ব্যতীত হাসপাতালের সরকারি বিভিন্ন গাছ কেটে তার নিজ বাড়ীর জন্য বিভিন্ন আসবাবপত্র তৈরি করেন। রয়েছে তার বিরুদ্ধে মসজিদ নির্মানের মালামাল বিক্রিরও অভিযোগ । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও কর্মচারী বলেন হাসপাতালের যে কোন বিল,বেতন,পেনশন করার ক্ষেত্রে মোটা অংকের উৎকোচ ছাড়া সে কোন কাজ করে না,বাধ্য হয়ে তাকে উৎকোচ দিয়ে কাজ করাতে হয়। তারা জানান,সরকারি বরাদ্দকৃত বিভিন্ন খাতের টাকা সে ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি করে আত্মসাৎ করে বানিয়েছেন কোটি টাকার অট্টালিকা। এবিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছেন হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও এলাকাবাসী। অভিযুক্ত সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর ক্যাশিয়ার মোহাম্মদ উল্লাহ’র মুঠোফোনে জানতে চাইলে বলেন,আপনারা বিস্তারিত বিষয়গুলো যাচাই করুন। এসময় সাংবাদিকদের হুমকি দিয়ে বলেন যদি আমার বিরুদ্ধে কোন মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেন তাহলে আমি আপনাদের বিরুদ্ধে মামলা করবো। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃশারমিন তিথি জানান,এ সকল বিষয়গুলো সর্ম্পকে আমি অবগত নই। তাছাড়া আমি এখানে নতুন এসেছি। যদি ওনার ব্যাপারে কেউ কোন কমপ্লেইন করতো তাহলে হয়তবা বিভাগীয় ভাবে ব্যবস্থা নেয়া যেতো।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

মোহাম্মদ উল্লাহ’র পাপাচার, উৎকোচ ছাড়া কোন কাজ করে না

Update Time : 05:26:30 pm, Tuesday, 28 January 2025

 

সোনারগাঁও প্রতিনিধি :  সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর ক্যাশিয়ার  মোহাম্মদ উল্লাহ’র পাপাচার। উৎকোচ ছাড়া কোন কাজ করেন না,  সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর হিসাব রক্ষক (ক্যাশিয়ার) মোহাম্মদ উল্লাহ’র বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়,দীর্ঘ ১৫ বছর যাবত আওয়ামী লীগ ও তার দোসরদের সহায়তায় এ হাসপাতালে চাকুরী করছেন মোঃ উল্লাহ। চাকুরী জীবনের শুরুতে নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে যোগদান করলেও পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ ও তার দোসরদের ম্যানেজ করে খুব দ্রুতই অফিস সহকারী হয়ে ওঠেন। ঠিক তখনি নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ইশারায় ক্যাশিয়ারের দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে হয়েযান কোটিপতি। তথ্যা অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা যায় সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পিছনে রয়েছে তার নিজস্ব একটি জায়গায়। ওইখানে গড়ে তুলেছেন পাঁচতলা একটি ভবন। যাহা একজন তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীর শুধুমাত্র বেতনের টাকায় করা অসম্ভব। অত্র স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আশেপাশের লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায় অতীতে কোন প্রকার টেন্ডার ছাড়াই মোহাম্মদ উল্লাহ হাসপাতালের বিভিন্ন মালামাল সরিয়ে বিক্রি করেছেন,এই কাজ করতে গিয়ে বিভিন্ন সময় এলাকাবাসীর হাতে ধরা পড়ে গনপিটুনির স্বীকার হয়েছেন। বিগত প্রায় বছর তিন আগে হাসপাতালের প্রধান ফটকে তার চুরিকৃত মালামালসহ এলাকাবাসী তাকে আটক করে মারধর করেন। সে সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা স্বাস্থ্য ও প:প:কর্মকর্তা ডা:পলাশ কুমার সাহা এর হস্তক্ষেপে এলাকাবাসী তাকে ছেড়ে দেন। এছাড়াও বন বিভাগের অনুমোদন ব্যতীত হাসপাতালের সরকারি বিভিন্ন গাছ কেটে তার নিজ বাড়ীর জন্য বিভিন্ন আসবাবপত্র তৈরি করেন। রয়েছে তার বিরুদ্ধে মসজিদ নির্মানের মালামাল বিক্রিরও অভিযোগ । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও কর্মচারী বলেন হাসপাতালের যে কোন বিল,বেতন,পেনশন করার ক্ষেত্রে মোটা অংকের উৎকোচ ছাড়া সে কোন কাজ করে না,বাধ্য হয়ে তাকে উৎকোচ দিয়ে কাজ করাতে হয়। তারা জানান,সরকারি বরাদ্দকৃত বিভিন্ন খাতের টাকা সে ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি করে আত্মসাৎ করে বানিয়েছেন কোটি টাকার অট্টালিকা। এবিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছেন হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও এলাকাবাসী। অভিযুক্ত সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর ক্যাশিয়ার মোহাম্মদ উল্লাহ’র মুঠোফোনে জানতে চাইলে বলেন,আপনারা বিস্তারিত বিষয়গুলো যাচাই করুন। এসময় সাংবাদিকদের হুমকি দিয়ে বলেন যদি আমার বিরুদ্ধে কোন মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেন তাহলে আমি আপনাদের বিরুদ্ধে মামলা করবো। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃশারমিন তিথি জানান,এ সকল বিষয়গুলো সর্ম্পকে আমি অবগত নই। তাছাড়া আমি এখানে নতুন এসেছি। যদি ওনার ব্যাপারে কেউ কোন কমপ্লেইন করতো তাহলে হয়তবা বিভাগীয় ভাবে ব্যবস্থা নেয়া যেতো।