Dhaka 5:32 am, Friday, 7 November 2025

সরকারের সঙ্গে সংঘাতে গেলে বিএনপির কোন লাভ নেই- বেগম খালেদা জিয়া

  • Reporter Name
  • Update Time : 08:37:10 am, Wednesday, 11 June 2025
  • 210 Time View

অলিউল্লাহ  জনি: দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সবচেয়ে বাস্তববাদী, সময়োপযোগী এবং কৌশলী সিদ্ধান্তটি নিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি উপলব্ধি করেছেন, সরকারের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে গিয়ে দল শুধু ক্ষতিগ্রস্তই হচ্ছে না, বরং নিজেদের সুনাম, ভাবমূর্তি ও রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্যতাও হারাচ্ছে। দলের সিনিয়র নেতাদের তিনি সোজাসাপ্টা জানিয়ে দিয়েছেন—“সরকারের সঙ্গে সংঘাতে গেলে বিএনপির কোনো লাভ নেই।”

ঈদের দিন রাতে স্থায়ী কমিটির সদস্যরা খালেদা জিয়ার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় এই পরামর্শ দেন তিনি। সূত্র বলছে, চেয়ারপারসনের এই সুস্পষ্ট নির্দেশনার পরপরই স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক ডাকা হয় এবং তার মতামতের ওপর দীর্ঘ আলোচনা হয়। সিদ্ধান্ত হয়, আগের কঠোর অবস্থান থেকে সরে এসে সরকারের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের পথ খোঁজা হবে।

এই নতুন অবস্থানের পেছনে মূল ভূমিকা রেখেছেন বেগম খালেদা জিয়া নিজে। তিনি বুঝতে পেরেছেন, দলের কিছু নেতার হঠকারী বক্তব্য ও অবিবেচনাপ্রসূত কর্মকাণ্ড কেবল দলের ক্ষতি ডেকে এনেছে। বিএনপিকে আজ অনেকাংশেই মানুষের হাসির পাত্রে পরিণত করেছে এসব আত্মঘাতী অবস্থান। অথচ বেগম খালেদা জিয়া নিজে এতদিন এই বিষয়ে কোনো প্রকাশ্য মন্তব্য করেননি, এমনকি তারেক রহমানও খুব হিসেব করে, সতর্কভাবে বক্তব্য রেখেছেন। বিশেষ করে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে কোনো রকম আক্রমণাত্মক অবস্থান তারা নেননি।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের নেতৃত্ব নিয়ে বিএনপি আগে কঠোর অবস্থান নিলেও এখন সে অবস্থান থেকে দলটি পিছিয়েছে। এর নেপথ্য নায়ক বেগম খালেদা জিয়া। তার নির্দেশেই লন্ডনে তারেক রহমানের সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠকের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে। আগামী ১৩ জুন ডরচেষ্টার হোটেলে এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। রাজনৈতিক মহলে ধারণা করা হচ্ছে, এই বৈঠক বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে।

ঈদের আগের দিন প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে ভাষণে ঘোষণা দেন যে আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ ঘোষণার পর বিএনপি কড়া প্রতিক্রিয়া জানালেও শেষ পর্যন্ত তারা উপলব্ধি করেছে যে সংঘাত নয়, আলোচনাই সঠিক পথ। আলোচনার মাধ্যমেই নির্বাচনের পরিবেশ, রোডম্যাপ এবং সমঝোতার সম্ভাবনা খোঁজার চেষ্টা হবে।

উল্লেখযোগ্য যে, ড. ইউনূস ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বেগম খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের প্রতি যথেষ্ট সম্মান প্রদর্শন করেছেন। বিএনপির নেতাদের বহু মামলার অবসান ঘটিয়েছেন, এমনকি বিএনপির বহু আক্রমণাত্মক বক্তব্যেও নীরব থেকেছেন। তার এই কৌশলী ও নমনীয় আচরণ বিএনপির নেতৃত্বকে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করেছে।

এই অবস্থায় যদি বিএনপি চেয়ারপারসনের পরামর্শ মেনে নেয়, তারেক রহমানের সঙ্গে সদর্থক আলোচনা হয়—তবে রাজনৈতিক বিরোধ ভুলে একটি সুন্দর ও স্থিতিশীল বাংলাদেশের সম্ভাবনা আর অলীক কল্পনা থাকবে না। বেগম খালেদা জিয়াকে এ জন্য ধন্যবাদ দিতেই হয়—ঠিক সময়ে, সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে দলকে বিভ্রান্তির পথ থেকে সরিয়ে এনেছেন তিনি। এই নির্দেশনা ছিল বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতিতে অত্যন্ত জরুরি ও অপরিহার্য।
আমার বিগত দিনের সবগুলো পোস্টই ছিল এ ধরণের অনুরোধের , সুন্দর একটা সমাধান হলে এবং দেশে স্থিতিশীলতা ফিরে আসলে আমি সহ সবাই আনন্দিত হব । দেশ ভাল থাকলে আমরা ভাল থাকব , আনন্দে থাকব ।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

সরকারের সঙ্গে সংঘাতে গেলে বিএনপির কোন লাভ নেই- বেগম খালেদা জিয়া

Update Time : 08:37:10 am, Wednesday, 11 June 2025

অলিউল্লাহ  জনি: দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সবচেয়ে বাস্তববাদী, সময়োপযোগী এবং কৌশলী সিদ্ধান্তটি নিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি উপলব্ধি করেছেন, সরকারের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে গিয়ে দল শুধু ক্ষতিগ্রস্তই হচ্ছে না, বরং নিজেদের সুনাম, ভাবমূর্তি ও রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্যতাও হারাচ্ছে। দলের সিনিয়র নেতাদের তিনি সোজাসাপ্টা জানিয়ে দিয়েছেন—“সরকারের সঙ্গে সংঘাতে গেলে বিএনপির কোনো লাভ নেই।”

ঈদের দিন রাতে স্থায়ী কমিটির সদস্যরা খালেদা জিয়ার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় এই পরামর্শ দেন তিনি। সূত্র বলছে, চেয়ারপারসনের এই সুস্পষ্ট নির্দেশনার পরপরই স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক ডাকা হয় এবং তার মতামতের ওপর দীর্ঘ আলোচনা হয়। সিদ্ধান্ত হয়, আগের কঠোর অবস্থান থেকে সরে এসে সরকারের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের পথ খোঁজা হবে।

এই নতুন অবস্থানের পেছনে মূল ভূমিকা রেখেছেন বেগম খালেদা জিয়া নিজে। তিনি বুঝতে পেরেছেন, দলের কিছু নেতার হঠকারী বক্তব্য ও অবিবেচনাপ্রসূত কর্মকাণ্ড কেবল দলের ক্ষতি ডেকে এনেছে। বিএনপিকে আজ অনেকাংশেই মানুষের হাসির পাত্রে পরিণত করেছে এসব আত্মঘাতী অবস্থান। অথচ বেগম খালেদা জিয়া নিজে এতদিন এই বিষয়ে কোনো প্রকাশ্য মন্তব্য করেননি, এমনকি তারেক রহমানও খুব হিসেব করে, সতর্কভাবে বক্তব্য রেখেছেন। বিশেষ করে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে কোনো রকম আক্রমণাত্মক অবস্থান তারা নেননি।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের নেতৃত্ব নিয়ে বিএনপি আগে কঠোর অবস্থান নিলেও এখন সে অবস্থান থেকে দলটি পিছিয়েছে। এর নেপথ্য নায়ক বেগম খালেদা জিয়া। তার নির্দেশেই লন্ডনে তারেক রহমানের সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠকের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে। আগামী ১৩ জুন ডরচেষ্টার হোটেলে এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। রাজনৈতিক মহলে ধারণা করা হচ্ছে, এই বৈঠক বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে।

ঈদের আগের দিন প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে ভাষণে ঘোষণা দেন যে আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ ঘোষণার পর বিএনপি কড়া প্রতিক্রিয়া জানালেও শেষ পর্যন্ত তারা উপলব্ধি করেছে যে সংঘাত নয়, আলোচনাই সঠিক পথ। আলোচনার মাধ্যমেই নির্বাচনের পরিবেশ, রোডম্যাপ এবং সমঝোতার সম্ভাবনা খোঁজার চেষ্টা হবে।

উল্লেখযোগ্য যে, ড. ইউনূস ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বেগম খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের প্রতি যথেষ্ট সম্মান প্রদর্শন করেছেন। বিএনপির নেতাদের বহু মামলার অবসান ঘটিয়েছেন, এমনকি বিএনপির বহু আক্রমণাত্মক বক্তব্যেও নীরব থেকেছেন। তার এই কৌশলী ও নমনীয় আচরণ বিএনপির নেতৃত্বকে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করেছে।

এই অবস্থায় যদি বিএনপি চেয়ারপারসনের পরামর্শ মেনে নেয়, তারেক রহমানের সঙ্গে সদর্থক আলোচনা হয়—তবে রাজনৈতিক বিরোধ ভুলে একটি সুন্দর ও স্থিতিশীল বাংলাদেশের সম্ভাবনা আর অলীক কল্পনা থাকবে না। বেগম খালেদা জিয়াকে এ জন্য ধন্যবাদ দিতেই হয়—ঠিক সময়ে, সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে দলকে বিভ্রান্তির পথ থেকে সরিয়ে এনেছেন তিনি। এই নির্দেশনা ছিল বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতিতে অত্যন্ত জরুরি ও অপরিহার্য।
আমার বিগত দিনের সবগুলো পোস্টই ছিল এ ধরণের অনুরোধের , সুন্দর একটা সমাধান হলে এবং দেশে স্থিতিশীলতা ফিরে আসলে আমি সহ সবাই আনন্দিত হব । দেশ ভাল থাকলে আমরা ভাল থাকব , আনন্দে থাকব ।