
- নিজস্ব প্রতিনিধি : সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসি হওয়াতে মীর জাফর ফখরুল গংদের কষ্ট লাগেনি, কিন্তু মুজিবের মূর্তি ভাঙাতে কষ্ট লেগেছে! কতবড় বেঈমান ?
সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর গ্রেফতার, টর্চার, মৃত্যু দন্ড।চিকিৎসা নিতে এটর্নী জেনারেল মাহবুব আলম সাহেবের বাধা প্রদান।
সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী পিতা ফজলুল কাদের চৌধুরী পাকিস্তান পার্লামেন্টের স্পিকার ছিলেন। পাকিস্তান সৃষ্টির নেতা ছিলেন। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্রগ্রাম কলেজ তৈরি করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আত্নজীবনীতে ফকা চৌধুরীর কথা লিখা আছে।শেখ মুজিব ফকা চৌধুরীর কর্মী ছিলেন।
খুব সম্ভবত ২০১০সালে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে গুলশান থেকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হয়।তিনি বাংলাদেশে ছয় বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন চট্রগ্রামের। গ্রেফতার করা অবস্থায় তাকে প্রচুর মারধর করা হয়। তার নাক মুখ দিয়ে রক্তক্ষরন হয়। জামা রক্তে নষ্ট হয়ে যায়।এই অবস্থায় তার রিমান্ড মঞ্জুর হয়।
সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর চিকিৎসার জন্য হাইকোর্টে রীট করা হয়।বিচারপতি মিফতাউদ্দীন চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলা শুনানি শুরু হয়। তখন বিএনপি সমর্থক আইনজীবিরা সাকা চৌধুরীর চিকিৎসা দাবী করে এবং তার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে পিজি হাসপাতালে চিকিৎসার নির্দেশ আবেদন করে।
মাননীয় বিচারপতি মিফতাউদ্দীন চৌধুরী রুমী এটর্নী জেনারেল মাহবুবল আলমের কড়া আপত্তি ও প্রতিবাদের সম্মুখীন হন।তিনি কোনো মতেই এটর্নী জেনারেল কে বুঝাতে পারছিলেন না। এটর্নী জেনারেল মাহবুব আলমের চরম বাধার সম্মুখে তিনি আইনজিবীদের দরখাস্ত মঞ্জুর করেন এবং সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে পিজি হাসপাতালে চিকিৎসার নির্দেশ দেন।
দুঃখজনক হলেও সত্য এটর্নী জেনারেল এই মানবিক চিকিৎসার নিরদেশটি ও সুপ্রিম কোর্টে আপীল করেন এবং সরকারের আজ্ঞাবহ আপীল বিভাগ এই চিকিৎসার মানবিক নির্দেশটিও বাতিল করে দেন। এই ছিল দেশের সেদিনের এটর্নী জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগের নোংরামির ভূমিকা। বিগত পনের বছর দেশের সর্বোচ্চ আদালত যা হয়েছে তা লেখতে হলে একটি ঐতিহাসিক অধ্যায়ের সৃষ্টি হবে। কাল্পনিক মামলায় সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাসি কার্যকর করা হয়।
জেল গেটে তার বউ বাচ্চার মুখের সামনে ফাঁসির দড়ি প্রদর্শন করা হয়। কোনো সভ্য সমাজে এই আচরণ চলে না চলতে পারেনা শুধু পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার সময়ে হয়েছিল।
এই দৃশ্য দেখেও আমাদের বিএনপি নেতাদের বিবেক কাজ করে না । তারা এখনো আওয়ামী দোসরদের চায়। তাদের তো এইসব বিষয়ে স্পষ্টবাদী হওয়া উচিত। আর বর্তমান আওয়ামী নেতারা কোর্ট থেকে বের হয়ে হাসাহাসি করে। ঠিকমতো রিমান্ড দিতে পারেনা। আর বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে দেখেন কিভাবে নির্যাতিত হয়েছে রিমান্ডে।
Reporter Name 








