
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : হাফ ভাড়ায় হয়রানির শিকার ও অপদস্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা, প্রসাসন নীরব ভুমিকা পালন করছে বলে জানা যায়।
বন্ধন এবং উৎসব বাসের স্টুডেন্ট ভাড়া নিয়ে কাহিনী দেখল মনে হয় যে ওরা আমাদের ভিক্ষা দিচ্ছে। আমি ঢাকায় পড়াশোনা করি এবং নিয়মিত লোকাল বাসে যাতায়াত করি। স্টুডেন্ট ভাড়া দিয়ে অভস্ত, তাই বন্ধন এবং উৎসব বাসের আচরণ নিয়ে লিখতে বাধ্য হচ্ছি।
১। তারা শুক্র-শনিবার হাফ পাশ নেয় না, যেখানে সরকার থেকে নিয়ম করে দিসে যে সপ্তাহে সাতদিন সকাল ৬ টা থেকে রাত ১২ টা পর্যন্ত স্টুডেন্ট ভাড়া নিতে হবে। বন্ধন উৎসব কি তাহলে সরকারেরও উপরে? শনিবার দেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় খোলা থাকে, তখন কেন হাফভাড়া নেয়া হবে না? নাকি শুক্রবার শনিবার ছাত্ররা চাকরি নিয়ে নেয়, তাই টাকার প্রবলেম থাকে না?
২। এক বাসে ২-৩ জন বেশি স্টুডেন্ট হলেই বলে পরের গাড়িতে যান, লাইনে দাঁড়ান, বা অন্য নানান ধরনের হয়রানি। এটা তো কোম্পানির বাস, যত স্টুডেন্টই হোক, কোম্পানির থেকে যাবে। তাহলে স্টুডেন্টদের অহেতুক হয়রানি করিয়ে ওদের কি লাভ হয়?
৩। ২ নং রেলগেইট থেকে স্টুডেন্ট ভাড়া কাটে না। তাহলে এখানে টিকেট কেটে অন্য যাত্রী উঠায় কেন? কাউন্টার বানিয়ে ফেলসে এটাকে অথচ স্টুডেন্ট উঠতে চাইলেই দোষ। একজন ছাত্র যদি ২০ টাকা ভাড়া দিয়ে চাষাড়া গিয়েই উঠে তাহলে আর স্টুডেন্ট ভাড়া দিবে কেন?
৪। রাত ৭ টার পর থেকেই স্টুডেন্ট ভাড়া নিয়ে গড়িমসি শুরু হয়ে যায়, যেন একটা স্টুডেন্ট কম নিতে পারলে ওদের বেতন বেড়ে যাবে।
৫। সর্বোপরি ভাড়া কম নেয়া বা নেয়া পরের কথা, কিন্তু ওরা যেমন ব্যবহার করে এটা খুবই অপমানজনক। যেন ওরা ভিক্ষা দিচ্ছে স্টুডেন্ট ভাড়া নিয়ে। আবার অনেক যাত্রীও দেখি এটা নিয়ে মজাও নেয়। মনে রাখবেন আপনাদের বাচ্চাও স্টুডেন্ট, আজকে অন্য একজনের অধিকার ক্ষুন্ন করছেন মানে আপনি কাল আপনার বাচ্চার অধিকার ক্ষুন্ন হওয়ার রাস্তা করে দিচ্ছেন।
বি:দ্র: পোস্টটা অ্যানোনিমাস দেয়ার কারন হচ্ছে অতীত অভিজ্ঞতায় দেখেছি কোনো বিতর্কিত বিষয় নিয়ে লিখলেই কিছু মানুষ ইনবক্সে গিয়ে পর্যন্ত ঝগড়া শুরু করে দেয়। বিষয়টা সবার নজরে আসা দরকার তাই গ্রুপে পোস্ট করেছি, এটা নিয়ে কোনো পার্সোনাল ক্যাচালে জড়াতে চাই না। ধন্যবাদ।
Reporter Name 















