
নিজস্ব প্রতিনিধি : ৪ দিনের সফর শেষে দেশে ফিরল ড. ইউনূস। চীন সফর শেষে দেশের জন্যে ড. ইউনুস যা যা নিয়ে আসল তা নিম্মরুপ:
১. ২.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থাৎ ২৫৬২০ কোটি টাকার বিশাল একটা বিনিয়োগ পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ!
তাছাড়াও চীনের প্রায় ৩০টি কোম্পানি বাংলাদেশের বিশেষ চীনা শিল্প অর্থনৈতিক অঞ্চলে এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের অঙ্গীকার করেছে।
২. বাংলাদেশের মোংলা বন্দরটা এখনো পুরনো সেকেলে আমলের। চীন সেটা আধুনিকীকরণ করার জন্যে প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে।
সাথে প্রযুক্তিগত সহায়তা হিসেবে আরও ১৫০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দিবে। তার মানে আন্তর্জাতিক মানের একটা বন্দর পেতে যাচ্ছি আমরা।
৩. বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে আম উৎপাদন হয় কিন্তু সেগুলো তেমন একটা রপ্তানি হয় না। আজ থেকে ৬ বছর আগে হাসিনার আমলে আম রপ্তানির জন্যে আবেদন করেছিল কিন্তু চীন সাড়া দেয়নি।
কিন্তু এবারে ড. ইউনূসের ডাক উপেক্ষা করেনি চীন।
সামনে আমের সিজন মানে মে- জুন মাস থেকেই রপ্তানি হবে আম। তার মানে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের আরেকটা পথ বাড়ল বাংলাদেশের।
৪. বিদেশে ব্যবসা করতে গেলে সবচেয়ে বেশি ব্যয় হয় ওই দেশের সরকারকে ট্যাক্স দিতে গিয়ে। তাই তেমন একটা লাভ করা যায় না।
কিন্তু এবারে ড. ইউনূসের কারণে ২০২৮ সাল পর্যন্ত কোনপ্রকার ট্যাক্স ছাড়াই ব্যবসা করতে পারবে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা।
এতে করে ব্যবসায়ীদের জন্যে একটা নতুন সুযোগ উন্মুক্ত হয়ে গেল।
৫. উত্তরবঙ্গে ভারত সবসময় নিজেদের জোরে যখন ইচ্ছে পানি ছাড়ত বা বন্ধ করে রাখত। তাই সেখানে সবসময় বন্যা, খরা লেগেই থাকত।
কিন্তু এবারে ড. ইউনূসের সফরের মাধ্যমে তিস্তা সেচ মহাপ্রকল্পের কাজটা শুরু হবে। এর মাধ্যমেই ভারতের দাদাগিরির হাত থেকে মুক্ত হবে বাংলাদেশ।
শুধু তাই না ইউনূস সরকার দেশের নদী ও পানি ব্যবস্থাপনা পরিচালনার জন্য চীন থেকে ৫০ বছরের মাস্টারপ্ল্যান চেয়েছে। চীনও সেটা দিতে সানন্দ্যে রাজি হয়েছে।
৬. বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ উন্নত চিকিৎসার জন্যে ভারতে যেত। কিন্তু ভারত যখন তখন ভিসা বন্ধ করে দিয়ে নিজেদের দাদাগিরি দেখাত।
কিন্তু এবারে ড. ইউনূস বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল হাসপাতাল তৈরির জন্যে চীনকে আমন্ত্রণ করেছেন। মানে দেশে বসেই উন্নত চিকিৎসা পাওয়া যাবে। চীনও রাজি হয়েছে।
তাছাড়া এখন থেকে চীনের ৪টা হাসপাতালে বাংলাদেশীরা সরাসরি চিকিৎসা নিতে পারবে। চাইনিজরা যেমন চিকিৎসা পায় তেমনটা বাঙালিরাও পাবে।
আরও মজার ব্যাপার হচ্ছে – চট্টগ্রাম থেকে স্বল্প টাকায় টিকিট কিনে চায়না গিয়েও চিকিৎসা নেওয়া যাবে।
৭. ঢাকার চারপাশের ড্রেনে ড্রেনে দূষিত পানি। সেগুলোর নিষ্কাশন এবং পরিষ্কারের ব্যাপারেও চীন মাস্টারপ্ল্যান করে সহায়তা দিবে। এতে করে ঢাকায় একটা দূষণমুক্ত পরিবেশ পাব আমরা
৮. এছাড়াও বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সাহিত্য, সংস্কৃতি, সংবাদ বিনিময়, গণমাধ্যম, ক্রীড়া ও স্বাস্থ্য খাতে ৮টি সমঝোতা স্মারক সই করেছেন ড. ইউনূস।
এর মাধ্যমে বাংলাদেশ শিক্ষা এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও অনেকদূর এগিয়ে যাবে।
খুব ছোটবেলায় বড়রা বাজারে গেলে আমরা যেমন এটা সেটা কিনে আনার বায়না ধরতাম ড. ইউনূসও তেমনি গার্জিয়নাের মতো চীন থেকে আমাদের জন্যে এতসব কিছু নিয়ে এসেছেন।
আমাদের মতো কপালপোড়া বিধ্বস্ত জাতিকে একটু সংস্কারের চেষ্টা করছেন।
ড. ইউনূসের বদলে অন্য কেউ গেলে এতকিছু নিয়ে আসা সম্ভব হতো কিনা জানি না।
তাকে চীন এতটাই সম্মান দিয়েছে যে তার জন্যে আলাদা একটা বিমান পাঠিয়েছিল যেটা চীন শুধুমাত্র গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের জন্যেই পাঠায়।
তারপর সেখানের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি.লিট উপাধিও দেওয়া হয়েছে তাকে।
ড. ইউনূস আসলে ম্যাজিশিয়ানের মতো। এসেছেন তারপর কোন ফাও আলাপ না করে তার ক্যারিশমা দেখিয়েছেন।
অথচ আর মাত্র ৭-৮ মাস পর নির্বাচনের মাধ্যমে এই ম্যাজিশিয়ানটাকে হারিয়ে ফেলব আমরা।
লেখা – Ibrahim Khalil Shawon
সংগৃহীত ।
Reporter Name 








